২০২২-এ মাধ্যমিক পাশ করলেন ব্রাত্য বসু! নাম রয়েছে মেধাতালিকাতেও। মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই সাংবাদিকরা ইতিউতি তাকাতে শুরু করেন। ঠিক শুনলেন তো! শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসুর নাম কি ভুল করে চলে এল মেধা তালিকায়? তবে পর্ষদ সভাপতিই বিভ্রান্তি দূর করেন।
আসলে এই ব্রাত্য হলেন বিষ্ণপুরের ব্রাত্য। যে মাধ্যমিকে অষ্টম স্থান দখল করেছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে নামের মিল তাঁর। বন্ধুরাও এনিয়ে তামাশা করেছে। ৬৮৬ নম্বর পেয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ছাত্র ব্রাত্য বসু। সে জানায়,'বন্ধুরা মজা করে বলত, আমাদের শিক্ষামন্ত্রী৷' হেসে ব্রাত্যর বাবা প্রাক্তন সেনাকর্মী চণ্ডীদাস বসু৷ তিনি জানান,'আমার ভাই চিকিৎসক। ওঁ-ই ছেলের নামকরণ করেছিল৷ তখন কী আর জানতাম রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওর নাম মিলে যাবে!'
ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা। তাঁর কথায়,'ছেলে বরাবরই স্কুলের সব পরীক্ষায় এক থেকে তিনের মধ্যেই থেকেছে।'
ভাল ফল হবে বলে আত্মবিশ্বাসীই ছিল ব্রাত্য। তবে মেধাতালিকায় নাম উঠবে তা ভাবতে পারেনি। তবে নামের মিল থাকলেও অধ্যাপনা বা নাট্যচর্চার ইচ্ছা নেই বিষ্ণুপুরের ব্রাত্য। তার কথায়,'বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে ভাল লাগে, বিশেষ করে জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যার মতো বিষয়।' ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ব্রাত্য়র।
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। সকাল ৯টায় সাংবাদিক বৈঠক করে রেজাল্ট ঘোষণা করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ৭৯ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশিত হয়েছে। করোনার কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এ বছর ৭ মার্চ থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৬ মার্চ শেষ হয় পরীক্ষা। পাশের হার ৮৬.০৬ শতাংশ। সাফল্যের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। ৯৭.৬৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ওই জেলায়। যুগ্ম প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের অর্ণব ঘড়াই এবং বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।
আরও পড়ুন- ১০ জুন উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, নম্বর জানা যাবে এই ওয়েবসাইটগুলিতে