করোনাকালে প্রকট হয়েছিল চিকিৎসকদের অভাব। গ্রামেগঞ্জেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো থাকলেও ডাক্তার নেই। এমতাবস্থায় নার্সদের পদোন্নতির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেধা তালিকায় গরমিল নিয়ে নার্স চাকরিপ্রার্থীরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ঠিক তখনই নার্সদের 'ডাক্তারি প্রশিক্ষণে'র কথা ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর। কমিউনিটি হেলথ অফিসার হিসেবে তাঁদের নিয়োগ করা হবে।
গতবছর ২৬ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা,'অনেক নার্স দীর্ঘ অভিজ্ঞতার জন্য চিকিৎসকদের সমান কাজ করতে পারেন। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, আমরা ঠিক করেছি, সেই সব নার্সকে আরও এক ধাপ পদোন্নতি করা হবে। পদোন্নতির পর এই নার্সরা হবেন প্র্যাকটিশনার সিস্টার। তাঁরা প্র্যাকটিস করতে পারবেন। সেই সঙ্গে তাঁদের দায়িত্ব নিয়ে অনেক কাজও করতে হবে, যাতে হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব বোধ না হয়।'
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে গ্রামেগঞ্জে ডাক্তারদের অভাব পূরণ করতে নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাক্তারি প্রশিক্ষিত নার্সদের 'কমিউনিটি হেলথ অফিসার' হিসেবে নিয়োগ করা হবে।
- ডাক্তারির ন্যূনতম প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে নার্সদের।
- ৩ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৭০৪ জন নার্সকে।
- সাধারণ অসুখ-বিসুখের চিকিৎসা কীভাবে করতে হবে সেটাই শেখানো হবে 'ডাক্তারি কোর্সে'।
- প্রেসক্রিপশন বা ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন না।
- ডাক্তারদের পরিবর্তে নয় বরং পরিপূরক হিসেবে কাজ করবেন নার্সরা।
- জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন।
- যোগ্যতা বিএসসি পাশ।
- প্রশিক্ষণের পর তাঁদের নিয়োগ কোথায় হবে তা স্থির করবে স্বাস্থ্য দফতর।
- প্রশিক্ষণের পর নম্বর ও কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে যোগ্য প্রার্থীকে চয়ন করবে স্বাস্থ্য দফতর।
- প্রশিক্ষণ চলাকালীন মাসে ভাতা পাবেন ১০ হাজার টাকা।
- প্রশিক্ষণের খুঁটিনাটির ব্যাপারে শীঘ্রই বিশদে জানানো হবে।
বন্ড স্বাক্ষর
- সরকারি প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর নার্সরা কাজ যাতে ছেড়ে না দেন সেজন্য বন্ডে সই করতে হবে।
- প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাঝ পথে ছেড়ে দিলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
- কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে যোগদানের পর ৩ বছরের মধ্যে ছেড়ে দিলে জরিমানা দিতে হবে ২ লক্ষ টাকা।
- জরুরি সরকারি কাজে যোগ দিলে কোনও জরিমানা লাগবে না।