৬ বছর পর শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই সঙ্গে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত পদও তৈরি করা হয়েছে। বেড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্যানেলের মেয়াদও।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরের ৫২৬১টি পদ তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। দীর্ঘদিন ধরে ধর্না দিচ্ছেন মেধা-তালিকাভুক্ত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। ইদের দিন ডিসির (সাউথ) মাধ্যমে ফোনে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের এক জন এবং নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের এক জন প্রতিনিধির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তার পর ধর্নামঞ্চে যান বিকাশ ভবনের দুই কর্তা। আন্দোলনকারীদের কথা মাথায় রেখে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কর্মশিক্ষার জন্য ৭৫০টি অতিরিক্ত পদ এবং শারীরশিক্ষার জন্য ৮৫০টি অতিরিক্ত তৈরি করেছে। সবমিলিয়ে ১৬০০টি পদ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৈরি প্যানেলের জন্য রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আর ২০১৬ সালে প্যানেলে নাম থাকা প্রার্থীরা যাতে সুযোগ পান সেজন্য মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরেই শেষ হয়েছিল।
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে চাকরিপ্রার্থী আন্দোলন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাচ্ছে। হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে বিরোধীরাও। সেই হাতিয়ার ভোঁতা করার কৌশল নিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান,'২০১৬ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এই পদগুলি তৈরি করেছেন। শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগের জন্য মেধার অপেক্ষামান তালিকার সুপারিশ করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন- আজই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা, রাজ্যে টানা বৃষ্টি ক'দিন?