১২৬ আসন বিশিষ্ট অসম বিধানসভার এবার ভোট হচ্ছে মোট তিন দফায়। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অসমেরও দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হল। গত ২৬ মার্চ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছিল ৪৭ আসনে। পয়লা এপ্রিল ভোটগ্রহণ হল ৩৯ আসনে।
ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৭টা থেকে । শেষ সন্ধে ৬টায়। এই দফায় ৩৪৫ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করলেন ৭৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৩১ জন বৈধ ভোটার।
৩৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এরমধ্য়ে বরাক উপত্যকার ১৩ জেলা, তিনটি পার্বত্য জেলা ও মধ্য ও নমনি অসমের বেশ কিছু এলাকাও রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ১০,৫৯২ বুথে ভোটগ্রহণ হল। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভোটারদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে, গ্লাভস পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রয়োগ থেকে শুরু করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম কঠোর ভাবে পালন করার নির্দেশ ছিল।
প্রত্যেক ভোটকর্মীকে কোভিড-কিট দেওয়া হয়েছে। ইভিএম রুমে ঢোকার আগে, প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক থার্মাল স্ক্যানিং করা হয়।
এবার অসমে মূল লড়াই হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এনডিএ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মধ্যে। এই দফার নির্বাচনে ৩৯ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী আছেন ৩৪ জন, কংগ্রেসের ২৮ জন, আসাম জাতীয় পরিষদের ১৯ জন, এআইইউডিএফ-এর ৭ জন। দ্বিতীয় দফায় যে সকল হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্যপরীক্ষা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিজেপির মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, ভবেশ কালিতা, পীযূষ হজারিকা ও ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্কর।
প্রথম দফায় অসমে ভোট পড়েছিল প্রায় ৭২ শতাং। এবারও পোলিং বুথের সামনে উৎসাহী ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে।
বাংলার মতোই অসমে নিয়মিত ভোট প্রচারে যাচ্ছেন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী। এদিনও অসমে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। অন্যদিকে অসমে নিয়মিত প্রচারে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকেও।