মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে আসল লড়াই হবে। কোনও 'তালপাতার সেপাই'কে ভয় পাই না। এমনটাই বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে BJP-তে যোগদানের ঘোষণা করেন তিনি। এদিন সকালেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান অভিজিৎ। এরপর দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, 'ফরমালি বিজেপি-তে যোগ দেব ৭ তারিখে। জয়েনের পর তারা আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, সেটাই করব।' আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি দাঁড়াচ্ছেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তালপাতার সেপাই
সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারীকে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত, এই বিষয়ে কী বলবেন। এর উত্তরে অভিজিৎ বলেন, 'নারদ কাণ্ড চক্রান্ত। এটা কোনও স্টিং অপারেশনই নয়। এটা করিয়েছে, যে, তৃণমূলে সবাই তাকে তালপাতার সেপাই না সেনাপতি কী একটা বলে। অ্যালকেমিস্ট বলে একটা কোম্পানি ছিল, তার ক্ষুড়-শ্বশুরের কোম্পানি, অ্যালকেমিস্টকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনা করেছিল। এটা চক্রান্ত। এক ভদ্রলোককে ব্যবহার করে এটা করা হয়। তালপাতার সেপাই যখন নিজে ভোটে দাঁড়াতে চাইছিল, দলের সিনিয়র নেতাদের সরিয়ে... তখন এটা করা হয়েছিল।'
তবে কি তৃণমূলেরই নেতারা চক্রান্তের শিকার? অভিজিৎ বলেন, 'হ্যাঁ। তাঁরা এখন তালপাতার সেপাইকে সেনাপতি বলে ডাকছেন।'
এরপরেই তিনি বলেন, 'তালপাতার সেপাই আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দাঁড়াবেন। আমি ভয় পাই নাকি। আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বৃত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। আমি দেখিয়ে দেব। ডায়মন্ডহারবারে ওঁর দুর্বৃত্ত দল আছে। লক্ষ লক্ষ ভোটে হারাব।'
মমতার বিরুদ্ধে হলে...
এরপরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই আসনে লড়বেন কিনা। তার উত্তরে অভিজিৎ বলেন, 'মমতার বিরুদ্ধে হলে আসল লড়াই হবে। উনি প্রকৃত রাজনীতিবিদ। কোনও তালপাতার সেপাইকে দুর্বৃত্ত বলে মনে করি।
এরপরেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, 'তালপাতার সেপাই' বলতে কার কথা বলছেন?' অভিজিৎ বলেন, 'ওঁর নাম নেব না। আমি এখানো কোনও স্ল্যাং(খারাপ শব্দ) বলতে আসিনি। ওঁর নাম আমি স্ল্যাং বলে মনে করি।'