'পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র জ্বলছে।' বোমাবাজির ভিডিও পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে দবি করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি যে ভিডিও পোস্ট করেছেন তা ভোট শুরুর আগের। পাল্টা দাবি করল কলকাতা পুলিশ।
যে ভিডিওটি পোস্ট করেন অমিত মালব্য সেখানে দেখা যায়, একটা রাস্তায় ঝামেলা হচ্ছে। কয়েকজন শোরগোল করছে। বোমাবাজির জেরে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা। সেই ভিডিও-র ক্যাপশনে মালব্য একাধিক অভিযোগ করেন।
তিনি লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র জ্বলছে। যাদবপুরের ভাঙড়ে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। জয়নগরের কুলতলিতে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা একটি ইভিএম এবং ভিভিপিএটি মেশিন পুকুরে ফেলে দিয়েছে। কারণ তাদের তৃণমূলের গুন্ডারা ভোট দিতে দেবে না…'
এখানেই না থেমে মালব্যর আরও অভিযোগ, 'সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডায়মন্ড হারবার। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং উত্তরাধিকারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না, ভোটের জন্য আনা নথিপত্র নষ্ট করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোসরদের মতো কাজ করছে। এমনকী মুসলমানরাও রেহাই পায়নি। কারণ তাদের একটি বড় সংখ্যক ভোটার সিপিআই(এম) প্রার্থী প্রতিকূর রহমানকে ভোট দিচ্ছে।'
এদিকে এক্স হ্যান্ডেলে এই অভিযোগ পোস্ট করার পর পাল্টা পোস্ট করে কলকাতা পুলিশ। অমিত মালব্য যে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, সেটা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, 'বাংলায় ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে সকাল ৬টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং CAPF অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করেছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাঙড়ের ভোটগ্রহণ কোনও বাধা ছাড়াই শুরু হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।'
প্রসঙ্গত, সপ্তম দফার ভোটের সকালেই ভাঙড়ের রাস্তায় বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। আইএসএফ প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগও ওঠে। এক আইএসএফ প্রার্থী গুলিবিদ্ধ বলেও দাবি করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি প্রশাসন। ISF-র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে জমায়েত হঠায় পোলেরহাট থানার পুলিশ।