লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট ভেস্তে গেল। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে বিজেপি। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন সে রাজ্যের বিজেপি প্রধান মনমোহন সামল। কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, বিজেডির সঙ্গে এবার জোট করতে পারে পদ্ম শিবির।
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে মনমোহন জানিয়েছেন যে, ওড়িশায় লোকসভার ২১টি আসন এবং বিধানসভার ১৪৭টি আসনেই লড়বে বিজেপি। মোদী সরকারের অনেক প্রকল্পের সুবিধা ওড়িশাবাসী পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন মনমোহন। তিনি বলেছেন, 'মোদী সরকারের অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পই ওড়িশার মানুষের কাছে পৌঁছোচ্ছে না। ফলে ওড়িশার গরিব ভাই-বোনরা সুবিধা পাচ্ছেন না।'
অতীতে এনডিএ-র শরিক ছিল নবীন পট্টনায়েকের দল। ২০০৯ সালে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতার কারণে এনডিএ সঙ্গ ছেড়েছিল বিজেডি। জল্পনা ছড়িয়েছিল, ১৫ বছর পর সেই সম্পর্ক আবার জুড়তে পারে। ইন্ডিয়া টুডে'কে বিজেডি সূত্র জানিয়েছিল, বিজেপিকে ৮টি লোকসভা আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অন্য দিকে, সে রাজ্যে ৯টি লোকসভা আসন এবং ৫৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াইয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল পদ্মশিবির। বর্তমানে বিজেপির হাতে রয়েছে ৮টি লোকসভা কেন্দ্র এবং ২৩টি বিধানসভা আসন। ওড়িশায় মোট লোকসভার আসন ২১। মোট বিধানসভা কেন্দ্র ১৪৭। কিছু দিন আগে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীনের বাসভবনে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন বিজেডি নেতারা। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি নেতারাও। তবে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জোটের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছিল দুই দলই।
গত ৫ মার্চ ওড়িশা সফরে গিয়ে নবীনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা মোদীর প্রশংসা করতে শোনা যায় নবীনের গলাতেও। এই আবহে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল বিজেডি। ২০০৯ সালে জোটে ছন্দপতন ঘটে। সেবার আসন সমঝোতা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে মন কষাকষি হয় বিজেডির। তারপরেই এনডিএ সঙ্গ ছাড়ে নবীনের দল। ২০১২, ২০১৭ এবং ২০২২ সালে এনডিএ-র রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছিল বিজেডি। তারপর থেকেই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব কমা ঘিরে জল্পনা দানা বাঁধে। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল বিজেপি।