Advertisement

PM Modi on OBC Certificate Verdict: 'খান মার্কেট গ্যাংয়ের পাপ, হাইকোর্টের থাপ্পড়,' OBC-রায়ে যা বললেন মোদী

এখানেই থামেননি মোদী। বিরোধী জোটকে নিশানা করে বলেন, 'ওরা বলছে, দেশের সম্পদের প্রথম অধিকারী মুসলিমরা। এরা সরকারি জমি ক্রমাগত ওয়াকফ বোর্ডকে দিয়ে গিয়েছে। বদলে ভোট চেয়েছে। এরা চায় দেশের বাজেটের ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত হোক। ওরা চায়, ব্যাঙ্ক থেকে লোনও দেওয়া হোক ধর্মের ভিত্তিতে। ইন্ডি জোট সিএএ-র বিরোধিতা করছে ও তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের জন্য।'

Narendra Modi and Mamata BanerjeeNarendra Modi and Mamata Banerjee
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 23 May 2024,
  • अपडेटेड 9:51 AM IST
  • 'এরা খান মার্কেট গ্যাংয়ের পাপের ভাগীদার'
  • 'ওরা চায়, ব্যাঙ্ক থেকে লোনও দেওয়া হোক ধর্মের ভিত্তিতে'
  • বাতিল সব ওবিসি সার্টিফিকেট

২০১০ সাল থেকে দেওয়া সব OBC সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মানবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Narendra Modi)। তাঁর কথায়, 'এই রায় খান মার্কেট গ্যাংয়ের গালে থাপ্পড়।' প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিল্লির পুরনো ও অতিপরিচিত বাজার খান মার্কেট। 

'এরা খান মার্কেট গ্যাংয়ের পাপের ভাগীদার'

বুধবার একটি নির্বাচনীয় সভায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বললেন, 'আজ কলকাতা হাইকোর্ট ইন্ডি জোটের গালে কষিয়ে একটি চড় মেরেছে। এরা খান মার্কেট গ্যাংয়ের পাপের ভাগীদার। ২০১০ সালের পর থেকে দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার মুসলিমদের মধ্যে দেদার ওবিসি সার্টিফিকেট বিলি করেছে। শুধুমাত্র মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক পেতে। ওদের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি সব সীমা পার করে গিয়েছে।'

'ওরা চায়, ব্যাঙ্ক থেকে লোনও দেওয়া হোক ধর্মের ভিত্তিতে'

এখানেই থামেননি মোদী। বিরোধী জোটকে নিশানা করে বলেন, 'ওরা বলছে, দেশের সম্পদের প্রথম অধিকারী মুসলিমরা। এরা সরকারি জমি ক্রমাগত ওয়াকফ বোর্ডকে দিয়ে গিয়েছে। বদলে ভোট চেয়েছে। এরা চায় দেশের বাজেটের ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত হোক। ওরা চায়, ব্যাঙ্ক থেকে লোনও দেওয়া হোক ধর্মের ভিত্তিতে। ইন্ডি জোট সিএএ-র বিরোধিতা করছে ও তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের জন্য।'

বাতিল সব ওবিসি সার্টিফিকেট

বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে দেওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা-ই হল ওবিসি সার্টিফিকেট। কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছে, এই রায় ঘোষণার পর থেকেই বাতিল হওয়া শংসাপত্র আর কোনও চাকরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। হাই কোর্টের এই নির্দেশের ফলে বাতিল হল প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। তবে একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, এই সার্টিফিকেট ব্যবহারকারী যাঁরা ইতিমধ্যে সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন এই রায়ে তাঁদের উপর প্রভাব পড়বে না।

Advertisement

আদালত জানিয়েছে, ২০১০ সালের পরে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। কলকাতা হাই কোর্ট বলছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। তাই ওই শংসাপত্র বাতিল করতে হবে। তবে একই সঙ্গে হাই কোর্ট জানিয়েছে, যাঁরা এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বা চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কোনও প্রভাব ফেলবে না। বাকিরা আর চাকরি প্রক্রিয়ায় ওই শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না।

'ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে'

হাইকোর্টের ওবিসি রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,'কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন তফসিলিদের রিজার্ভেশন কেড়ে নেবে। এটা কখনও হতে পারে? তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। আজ শুনলাম কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না। যেমন ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল। আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই বলছে আজকে। যে-ই রায় দিয়ে থাকুন। বিজেপির রায় এটা। আমরা মানি না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। সাহস কত বড়! কোর্টে কখনও ভাগাভাগি হয় না। দেশে কখনও ভাগাভাগি হয় না। এটা কলঙ্কিত অধ্যায়। কেউ বলতে পারে আমি হিন্দুকে বাদ দিলাম, মুসলমানকে রাখলাম। কেউ বলতে পারে হিন্দুকে রাখলাম, মুসলমানকে বাদ দিলাম। আমি করিনি। এটা উপেন বিশ্বাস করেছিলেন। উনি চেয়ারম্যান ছিলেন। বাড়ি বাড়ি সার্ভে করে হয়েছে। ২০১২ থেকে চলছে। স্পর্ধা তো কম নয়। একটা সরকারের পলিসি নিয়ে কথা বলছে। বিজেপির পলিসি নিয়ে একটা কথা বলার হিম্মত আছে? আবার বলে রাখি, এটা ক্যাবিনেট করে পাশ হয়েছে। বিধানসভায় পাশ হয়েছে। আদালতের রায় আছে।'
 

Read more!
Advertisement
Advertisement