পশ্চিমবঙ্গে যে সব কেন্দ্রে রামনবমী শোভাযাত্রায় (Ram Navami 2024) হিংসা ও সংঘর্ষ হয়েছে, সেই সব কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন বন্ধই করে দেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে হিংসার মামলায় শুনানিতে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আদালতের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে ৪ ও ১৩ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে ওই কেন্দ্রগুলিতে। আমরা বলব, ভোটগ্রহণ করাই উচিত নয়।
ভোটগ্রহণই বন্ধ করে দেওয়া উচিত: হাইকোর্ট
এদিন রামনবমী হিংসা মামলার একটি শুনানি চলাকালীন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর দিন মুর্শিদাবাদের হিংসা মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তাত্পর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, রামনবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে যে সব কেন্দ্রে হিংসা হয়েছে, সেই সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। হাইকোর্ট বলে, 'যদি মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যে বাস না করতে পারে, আমরা বলব, নির্বাচন কমিশন ওই সব জেলায় লোকসভা ভোটই বন্ধ করুক। এটাই একমাত্র রাস্তা। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও দুই গোষ্ঠী এই ভাবে হিংসা করছে। ওরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পাওয়ার যোগ্যই নয়।'
'রাজ্য পুলিশ কী করছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছে?'
এখানেই শেষ নয়। হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, 'এমনকী কলকাতাতেও ২৩টি জায়গায় রামনবমী শোভাযাত্রা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, রাজ্য পুলিশ কী করছে? কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছে?' এরপরেই রাজ্যের তরফে আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের বেঞ্চ তার উত্তরে বলে, 'আমরা নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেব, যেখানে মানুষ শান্তিতে উত্সব করতে পারে না, সেখানে নির্বাচন হওয়ার দরকার নেই।'
রাজ্য পুলিশকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত
বস্তুত, কোনও আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে না হাইকোর্ট। তাই উচ্চ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেবে, বহরমপুরে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হোক। রামনবমী হিংসা মামলায় রাজ্য পুলিশকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি ২৬ এপ্রিল।