লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গে একদফায় ভোট হোক। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট নিয়ে যাবতীয় বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানালেন, গোটা দেশে যত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে ১০ শতাংশ এসেছে পশ্চিমবঙ্গে।
সর্বদল বৈঠকে ছিল তৃণমূল-সহ মোট আটটি দল
লোকসভা ভোটে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়ে বিরোধীরা সরব। আজ রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য এবং অভাব-অভিযোগ শুনেছে কমিশন। সর্বদল বৈঠকে ছিল তৃণমূল-সহ মোট আটটি দল। সাংবাদিক বৈঠকে দলগুলির তরফে যে সমস্ত অভাব অভিযোগ জমা পড়েছে, সেগুলির উল্লেখ করেন রাজীব কুমার। তিনি জানান, একাধিক জেলায় রাজ্য প্রশাসন নিরপেক্ষ ভাবে ভোট করায় না, এই মর্মে অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, শান্তিপূর্ণ ভোট করা তে কি বেশি দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে?
পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট
রাজীব কুমারের কথায়, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী সব রাজ্যেই গিয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। এটি স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাক্টিস। আগে থেকে পাঠানো হয়েছে। গোটা দেশে যত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তার মাত্র ১০ শতাংশ এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। সব জায়গায় যাওয়া ওদের কাজ। কিন্তু প্রধান দায়িত্ব রাজ্য পুলিশেরই থাকবে। কেন্দ্রীয় কোথায় বেশি মোয়াতেন করা উচিত, কোথায় কম, তার সিদ্ধান্তও রাজ্য পুলিশ, কমিশনের অবজার্ভার ও আমাদের নোডাল অফিসার, তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।'
কত দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে?
পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কত দফায় লোকসভা ভোট হবে, তা নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বললেন, 'একটি দল একদফা ভোটের দাবি করেছিল। তবে কত দফায় ভোট হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা সব দলের বক্তব্য শুনেছি। স্থানীয় পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করেই কত দফার ভোট হবে, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য আমরা, দুদিনের বিস্তারিত আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, ডিএম, এসপি, পুলিশ অফিসিয়াল, রাজ্য প্রশাসন শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রাথমিক ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে। আমরা জানিয়ে দিয়েছি, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা আপনাদের করতেই হবে। নীচুস্তরের অফিসারদেরও এই বার্তা দিয়ে দিতে হবে ওঁদেরই। কোনও ভাবে না পারলে, আমরা দেখব। কী করা যায়। কিছু অপ্রতীকর ঘটনা ঘটলে, জেলা প্রশাসন সমাধান করবে, যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। যদি জেলা প্রশাসন না পারে, আমরা করিয়ে নেবো।'
রাজ্যে এ বার ৮০ হাজারেরও বেশি বুথে ভোটগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ বার নতুন ভোটারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার।