ভারতের নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় একটি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'অনুপ্রবেশকারী' মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে অভিযোগটি বিবেচনাধীন রয়েছে।
পুরো বিষয়টি কী?
রবিবার রাজস্থানের বাঁশওয়ারায় একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পদ পুনঃবন্টন সমীক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন। এই সময় তিনি বলেছিলেন যে কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ 'অনুপ্রবেশকারী' এবং 'যারা বেশি সন্তান উৎপাদন করে' তাদের মধ্যে বিতরণ করবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাজস্থানের বাঁশোয়ারায় নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে তাহবে মুসলমানদের কাছে মানুষের সম্পদ পুনঃবণ্টন করবে এবং সেই সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রথম দাবি ছিল।
রবিবারের জনসভায় মোদীর বক্তৃতা শোনার পরই সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রবিবার রাজস্থানের এক নির্বাচনী জনসভায় মোদী বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দেবে। পারিবারিক সোনা-রূপোর সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাটোয়ারা করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে কংগ্রেস, ক্ষমতায় এলে , অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কাছে সোনা এবং কষ্টার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে পুনরায় বিতরণ করবে এবং জনগণকে মোদী জিজ্ঞাসা করেছিল যে এটি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) সদস্য বৃন্দা কারাত এবং পুষ্পিন্দর সিং গ্রেওয়াল সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সোমবারই দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় পৌঁছন। এই নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'অনুপ্রবেশকারী' মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন। সিপিআই(এম) নেতারা অভিযোগ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন বিবৃতি দিয়েছেন যা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা বাড়ায় এবং ভারতে জাতীয় ঐক্যের ক্ষতি করে। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের নেতারা ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, প্রথম দফার ভোট বিরুদ্ধে গেচে বলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এরপরই মোদীর ভাষণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও জানান বিরোধীরা।