লোকসভা ভোটের আবহে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রার্থীর নানা মন্তব্য প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের এক প্রার্থীর এক মন্তব্য শোরগোল পড়ে গেল। পুরুষদের দুই স্ত্রী থাকলে তাঁরা ২ লক্ষ টাকা পাবেন, এমনই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের রাতলামের কংগ্রেস প্রার্থী কান্তিলাল ভুরিয়া।
ঠিক কী বলেছেন ওই কংগ্রেস নেতা?
বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী সভায় কান্তিলাল বলেন যে, কংগ্রেস তার ইস্তেহারে মহালক্ষ্মী প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে গরিব মহিলাদের ১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের দুই স্ত্রী রয়েছে, তাঁরা পাবেন ২ লক্ষ টাকা।
কংগ্রেস প্রার্থীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছে কান্তিলালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে পদ্ম শিবির। অন্য দিকে, কান্তিলালের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসের প্রধান জিতু পটওয়ারি। তাঁর কথায়, 'ভুরিয়াজি দারুণ একটা ঘোষণা করলেন। যে ব্যক্তির দুই স্ত্রী থাকবে, তাঁরা দ্বিগুণ টাকা পাবেন।' কংগ্রেসের ইস্তেহার অনুযায়ী, মহালক্ষ্মী প্রকল্পে বিপিএল আওয়তাভুক্ত মহিলারা মাসে পাবেন ৮ হাজার ৫০০ টাকা। বছরে এই অঙ্ক ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতার নানা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা ভারতীয়দের গায়ের রং নিয়ে এক মন্তব্য করেছেন। যা ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন যে, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে একটা সমীক্ষা করা হবে। তাতে দেখা হবে, কার কত সম্পত্তি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিত্রোদা আমেরিকায় ইনহেরিটেন্স ট্যাক্সের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানান যে, যদি কোনও ব্যাক্তির ১০০ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি থাকে, তা হলে তাঁর মৃত্যুর পর ৪৫ শতাংশ সম্পত্তি তাঁর সন্তানরা পাবেন। বাকি ৫৫ শতাংশ সম্পত্তি সরকারের কাছে যাবে। এরপরই পিত্রোদা বলেন, 'এটা দারুণ আইন। এই আইনে বলা হয়েছে যে, আপনার যত সম্পত্তি রয়েছে, মৃত্যুর পর তা সরকারকে দেবেন। পুরোটা নয়, অর্ধেক। আমার মনে হয় এটা ঠিক। কিন্তু ভারতে এমন কোনও নিয়ম নেই। এখানে কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর সব সম্পত্তি তাঁর সন্তানরা পাবেন। সরকারের জন্য কিছু থাকবে না। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে ভাবা উচিত।' পিত্রোদার এই মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।