INDIA জোটের বৈঠকে তিনি সম্মান পান না। বিরোধী জোটকে নিয়ন্ত্রণ করে সিপিএম। সোমবার এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা জবাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মমতাকে সরাসরি নিশানা করে অধীরের বক্তব্য, যে দিন উনি দেখলেন সিপিএম মাতব্বরি করছে, সেদিনই কেন বেরিয়ে আসেননি?
'এই ধরনের মন্তব্য কোনও ব্যাপার নয়'
এদিকে অধীর যখন মমতাকে রীতিমতো একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন, তখন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সুর নরমই। অধীর প্রসঙ্গে রাহুল বললেন, 'এই ধরনের মন্তব্য কোনও ব্যাপার নয়। কখনও আমাদের কেউ কিছু বলে দেন, কখনও ওদের কেউ কিছু বলে দেন। এগুলো চলতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটের বিষয়ে ব্যক্তিগত ভাবে দল যোগাযোগ হয়। আলোচনা হয়।'
'প্রথম দিন কেন বললেনি?' মমতাকে প্রশ্ন অধীরের
আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন অধীর। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মমতার অভিযোগ প্রসঙ্গে অধীর বললেন, 'যে দিন দেখলেন সিপিএম মাতব্বরি করছে, সেদিন কেন বলেননি, আমি জোটে থাকব না? ঢববাজিটা এখানেই। সময় মতো বলতে হয়, বেরিয়ে আসতে হয়। এখন বাহানা বানিয়ে বিজেপি-র সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে। পরে মিলিয়ে নেবেন আমার কথা। জোটের মিটিংয়ে প্রথম দিন থেকেই সীতারাম ইয়াচুরি ছিলেন, সেদিন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেননি, আমি জোটে থাকব না? সেদিন কি সিপিএমের ওপর রাগ ছিল না?'
'মোদীর সঙ্গে দিদির আসলে কোনও ফারাক নেই'
এরপরেই রাম মন্দির ইস্যু টেনেও মমতাকে নিশানা করেন অধীর। তাঁর কথায়, 'রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে রাজ্যজুড়ে যে অনুষ্ঠান সূচি পালন হচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশাসন নীরব কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নীরব। অর্থাত্ রামকে এখানে খাড়া করো, বিজেপি-র সুবিধা করো, মোদীকে খাড়া করো, মোদী আর মমতাকে ভাগাভাগি করো। ২০১৯ সালে যা হয়েছে, ২০২১-এ যা হয়েছে, ২০২৪ সালেও আবার হবে। মোদীর সঙ্গে দিদির আসলে কোনও ফারাক নেই। মোদী হিন্দু ভোট নেবে। তার আগে দিদি আল্লাহ দেখে নেবে বলে শ্লোগান মারতে আরম্ভ করেছেন। মুসলমান ভোট আমার কাছে এসো, বলতে শুরু করেছেন। এই ভাবে আপনি আর মোদী মিলে বাংলাকে বারবার বিভাজিত করতে পারবেন না।'
'আমাকে অনেক অসম্মান পেতে হয়'
বস্তুত, সোমবার ইন্ডিয়া জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে গুরুতর দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া আমি দিয়েছি। কিন্তু, বৈঠকে যোগ্য সম্মান পাই না। সিপিএম বিরোধী জোটকে নিয়ন্ত্রণ করে। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাকে অনেক অসম্মান পেতে হয়। কিন্তু, রিজিওনাল পার্টি যেখানে স্ট্রং সেখানে লড়তে দাও, বিজেপিকে সাহায্য করবেন না। বিজেপিকে সাহায্য করলে কেউ মাফ করবে না, আমিও করব না। আমার হিম্মত আছে লড়াই করার মতো। কিন্তু, আমাকে লড়তে দেয় না। যত রক্ত দেওয়ার দেব। কিন্তু, বিজেপিকে একটাও আসন দেব না। একটা লড়াই শুরু হয়েছে, একটা লড়াই চলবে, আমরা লড়ব। যাঁরা লড়ে তাঁরা বেঁচে থাকেন, কাজ করেন।'