ভোটগণনার দিন গণনাকেন্দ্রে কারচুপি হতে পারে আশঙ্কা কংগ্রেসের। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেছিলেন,গণনার সময়ে সহকারী রির্টানিং অফিসারের টেবিলে কোনও প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অতীতে এই ধরনের কোনও নিয়ম ছিল না। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, জেলাশাসকদের ফোন করে গণনা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জোড়া অভিযোগই খারিজ করল নির্বাচন কমিশন।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন,'মাঝে একটা গুজব ছড়াল, এআরও টেবিলে কাউন্টিং এজেন্টের বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটা আপনারা শুনেছেন। তাই গুজবের বেলুনকে নীচে নামানো জরুরি ছিল। এতে কিছুটা দেরি হল। প্রতিটি এআরও টেবিলে কাউন্টিং এজেন্ট বসতে পারবেন'। অর্থাৎ আগের নিয়মই বলবৎ থাকছে।
জেলাশাসক ও সহকারী রির্টানিং অফিসারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজীব কুমার বললেন, 'বিরাট সংখ্যক এআরও-দের প্রভাবিত করা হয়েছে। কীভাবে এটা হতে পারে? গত ৩ মাস ধরে তাঁরা গরমে কাজ করছেন। ৫০০-৬০০ লোককে কেউ কি প্রভাবিত করতে পারে? কেউ করে থাকলে নাম বলুন সাজা দেব। গণনার আগে বলে দিন, তাহলে সেই সব জেলাশাসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব। একটা গুজব রটিয়ে দিলেন। সবাইকে সন্দেহের নজরে দেখা হবে,এটা হতে পারে না'।
রাজীব কুমার বলেন,'বহুদলের বৈঠকে কয়েকটি দাবি করা গিয়েছিল। সবগুলিই আমরা মেনে নিয়েছি। সিসিটিভির নজরদারি চেয়েছেন তাঁরা। সেটা হবে। গণনার পর এজেন্টকে দেখানো হবে, কে কত ভোট পেয়েছে। প্রতিটি রাউন্ডের রেজাল্ট দেখানো হবে ডিসপ্লে-তে। ৭০ বছর ধরে একটা প্রক্রিয়া চলছে'।
খানিকটা উষ্মার সুরে রাজীব কুমার মন্তব্য করেন,'বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক লোকের চোখের সামনেই চলবে গণনা। যাঁরা কাউন্টারে বসে আছেন, যাঁরা লড়ছেন, সেখান থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। তাহলে অভিযোগ আসল কোত্থেকে? কেন অভিযোগ আসছে, জানি না। পারদর্শীতার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। কেউ উপদ্রব করতে চাইলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ভিডিওগ্রাফি চলবে। ইলেকশনের পর স্ক্রুটিনি হবে। দরকারে চ্যালেঞ্জ করুন। গুজব ছড়াবেন না'।