রবিবার ব্রিগেড-মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে নাম ছিল না ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। তাঁর বদলে প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। তাতে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অর্জুন। তিনি বলেন, 'শকিং। আগে জানলে আমি আসতাম না।' এবার সেই নিয়েই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, 'অর্জুন সিং-এর মত এত পুরনো রাজনীতিবিদ নেতা এতদিন তৃণমূলে থাকলেন, তৃণমূলকে চিনতে পারলেন না? পরস্পরকে ভালই চেনেন। এখন লুকোচুরি খেলা চলছে। শেষ গোলটা তৃণমূল দিয়ে দিয়েছে।'
এরপর দিলীপ বলেন, 'ওনার ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে। উনি চলে গিয়েছেন। মানুষ এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। যেখানে গিয়েছিলেন সেই দলের উপর ভরসা করেছিলেন। সেই দলের যা চরিত্র সেরকমই করেছে। উনি ভাবুন, বিজেপির লোকেদেরও অখুশি করেছেন। আমাদের কর্মীরা হাতে প্রাণ নিয়ে ওনাকে জিতিয়েছিলেন।'
অর্জুন ফিরলে কি বিজেপি তাকে জায়গা দেবে? এর উত্তরে দিলীপ অবশ্য হ্যাঁ-না বলতে চাননি। শুধু বলেন, 'উনি ফিরবেন কিনা বা আমাদের দল উনাকে নেবে কিনা সেটা দল সিদ্ধান্ত নেবে।'
'ইউসুফ পাঠানকে গুজরাতেই দিকে পারত'
ইতিমধ্যেই তৃণমূলকেই পাল্টা 'বহিরাগত' আনছে বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সুরেই এদিন দিলীপ বলেন, 'ইউসুফ পাঠানকে যদি প্রার্থী করারই ছিল, তাহলে গুজরাটেই করে দিতে পারতো। ওখানে একটা সিট হত তৃণমূলের। ওখান থেকে এখানে উড়িয়ে আনার কোনও মানে হয় না।'
মেদিনীপুরের জুন মালিয়া বনাম দিলীপ ঘোষ?
এদিন প্রতিপক্ষের প্রতি রাজনৈতিক সৌজন্যের বার্তা দিলেন দিলীপ। তিনি বলেন, 'জুন মালিয়াকে আমার শুভেচ্ছা।' তবে এর পাশাপাশি দিলীপ বলেন, 'গত লোকসভাতেও মানস ভূঁইয়ার মতো বড় প্রার্থী এখানে এসেছিলেন। মানুষ নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নের কাজের দিকে তাকিয়েই ভোট দেবেন।
'অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম দেবাংশু?
এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'কে কার সঙ্গে লড়াই করে দেখা যাবে। ভারতীয় জনতা পার্টি আর পদ্মফুলকেই লোকে দেখবে। তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন চর্চিত ব্যক্তি, তাঁর অবদান রাজ্যের মানুষ মনে রেখেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সৎ এই ব্যক্তির লড়াই নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে।'