বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আঁতাঁত করে তদন্ত করছে এনআইএ। এমন অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ ওঠে, ভূপতিনগরকাণ্ডে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তৃণমূলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, এনআইএ এসপি-র সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই এসপি-কে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ধনরামের জায়গায় এ রাজ্যে এনআইএ-র এসপি হচ্ছেন রাকেশ রোশন।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও এক্স হ্যান্ডলে দাবি করেছেন, বিজেপি-এনআইএ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরই এসপি ধনরাম সিংকে দিল্লিতে তলব করেছে এনআই। তিনি দিল্লিগামী বিমানেই আছেন। পটনার আইপিএস রাকেশ রোশনকে এসপি হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।'
কুণালের দাবি, ধনরামের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত চাইছি আমরা। ওই বৈঠকের বিষয়টি চেপে দেওয়া যাবে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রকে আড়াল করা যাবে না। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনআইএ-কে জানাতে হবে ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা এনআইএ ডিজি-র বদল দাবি করছি। ধনরামের কাজকর্ম-সহ সব কিছুর জন্য দায়ী তিনিই'।
ধনরাম এবং বিজেপির মধ্যে যোগসাজশের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তাদের দাবি, গত ২৬ মার্চ ধনরামের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ঘণ্টাখানেক তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। ভূপতিনগরকাণ্ডের তদন্তের আগে হয়েছিল ওই বৈঠক। ওই বৈঠকে ধনরামের হাতে তৃণমূল নেতাদের তালিকাও দেন জিতেন্দ্র। ভোটের আগে কোন কোন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে, তার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল। এ কাজে সহযোগিতার জন্য একটি সাদা প্যাকেটও ধনরামকে দেওয়া হয়। তাতে টাকা আছে কি না, সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক বলে দাবি করেছে তৃণমূল। বৈঠকের অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছু়ড়েছেন জিতেন।
এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন,'নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই যোগসাজশ চলতে থাকলেও নির্বাচন কমিশন বিস্ময়করভাবে নীরব। ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্বে পালন করছে না তারা'।