আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র ভারতের ৫৪৩ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার একটি। এই আসনের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র হুগলি জেলায়, একটি বিধানসভা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। এই আসনটি ২০০৯ সাল থেকে তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। পশ্চিমবঙ্গের আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র ১৯৬৭ সালে গঠিত হয়েছিল। ফরোয়ার্ড ব্লকের এ বসু এখান থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি কংগ্রেসের এস চৌধুরীকে হারান। ১৯৭১ সালে সিপিএমের মনোরঞ্জন হাজরা ফরওয়ার্ড ব্লকের কাছ থেকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকে কংগ্রেস। ১৯৭৭ সালে বিএলডি-র প্রফুল্ল চন্দ্র সেন জয়ী হন, কংগ্রেস দ্বিতীয় হয়।
১৯৮০ সালে সিপিএম প্রত্যাবর্তন করে এবং বিজয় কৃষ্ণ মোদক এখান থেকে জয়ী হয়। এর পরে সিপিএমের অনিল বসু এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে অনিল বসু প্রথমবার সিপিএম থেকে এমপি হন। এরপর ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৪ পর্যন্ত তাঁর বিজয়যাত্রা অব্যাহত ছিল। ২০০৯ সালেও সিপিএমের শক্তি মোহন মালিক বিজয় অভিযান চালিয়ে যান। পরিবর্তনের ঝড়েও সেবার এই আসনটি ধরে রাখে সিপিএম।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল
২০১৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অপরূপা পোদ্দার ৩, ৪৬,০০০-র বেশি ভোটে সিপিএমের শক্তিমোহন মালিককে পরাজিত করেছিলেন। অপরূপা পোদ্দার, যিনি আফরিন আলি নামেও পরিচিত, পেয়েছিলেন ৭৪৮৭৬৪ ভোট এবং CPM-এর শক্তি মোহন মালিক পেয়েছিলেন ৪০১৯১৯ ভোট৷ ২০১৪ সালে আমারবাগ লোকসভা আসনে ৮৫.১৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। যেখানে ২০০৯ সালে ৮৪.৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
২০১৯ সালের ফলাফল
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অপরূপা পোদ্দার। তিনি ৬,৪৯,৯২৯ ভোট পেয়েছিলেন এবং বিজেপির তপন কুমার রায় ৬,৪৮,৭৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোন দলের কে প্রার্থী
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ আসনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে মিতালি বাগকে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী থেকে এবার সংসদীয় ভোটের ময়দানে তিনি। প্রার্থী হয়েই মিতালি জানিয়েছেন যে তিনি একজন নারী হিসাবে নারীদের কথা সংসদে পৌঁছে দিতে চান। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে অরূপকান্তি দিগরকে।