Lok Sabha Election 6th Phase: একগুচ্ছ অশান্তি, রক্তপাত নিয়ে শেষ হল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। মেদিনীপুরের নন্দীগ্রম তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম ছিল এদিনের শিরোনামে। কোথাও মাথা ফাটল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তো কোথাও উঠল তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ।
শনিবার ভোট শুরুর আগে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা যায়। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। নির্বাচন শুরু হওয়ার ৪০ মিনিট পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থী হিরণ। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ভোট শুরুর প্রথম ১ ঘণ্টায় বাংলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে শনিবার সকালে ঝাড়গ্রামে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর মহিষাদলে ভোটের আগে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় ৫ বিজেপি কর্মীকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি। এই ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।
সকালে দেবকে নিজের কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তিনি হিরণকে বিঁধে বার্তা দেন, 'জেতার একমাত্র অস্ত্র সন্ত্রাস, সহানুভূতি কুড়োতে নানা অভিযোগ করছে।" ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের আনন্দপুর থানার খেড়িয়াবালি এলাকায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে বাঁশ লাঠি হাতে বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কেশিয়াড়িতে অগ্নিমিত্রা পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় জখম তৃণমূল কর্মীকে।
ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ঢিল। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। আক্রান্ত হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হন। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। বিজেপি প্রার্থী প্রণত অভিযোগ করেন,'পুলিশ প্রশাসন বলে এখানে কিছু নেই। খবর পেয়েছিলাম, এখানে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে। ঝাড়গ্রামকে সন্দেশখালি বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। নিরাপত্তারক্ষী ছিল বলে আমি বেঁচেছি। নইলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না'।
ময়নার বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দার আপ্তসহায়কের বাড়িতে যান BJP প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ধর্নায় বসেন। তাঁর অভিযোগ, ময়না পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরুকে নজরবন্দি করেছে পুলিশ। বিকেলে কেশপুরের একাধিক বুথে পুনর্নিবাচন দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। মোটের ওপর শান্তির ভোট দেখা গেল না ষষ্ঠ দফায়।