Advertisement

Mamata on Sitalkuchi Case:'ভোটের লাইনে ৫ জনকে গুলি করে মেরেছিল,' BJP প্রার্থী দেবাশিসকে শীতলকুচি-নিশানা মমতার

কৃষ্ণনগরের পরে উত্তরবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার অংশ হিসাবেই আজ কোচবিহারে জনসভা করলেন তৃণমূলনেত্রী। এই কোচবিহারেই এদিন জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। অর্থাৎ হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের মঞ্চ কোচবিহার। আর সেখান থেকেই বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে শীতলকুচি প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন মমতা। নাম না করে তোপ দাগেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীর দিকেও।

শীতলকুচি প্রসঙ্গ টেনে BJP-র দেবাশিসকে বিঁধলেন মমতা
Aajtak Bangla
  • কোচবিহার,
  • 04 Apr 2024,
  • अपडेटेड 1:21 PM IST

কৃষ্ণনগরের পরে উত্তরবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার অংশ হিসাবেই আজ কোচবিহারে জনসভা করলেন তৃণমূলনেত্রী। এই কোচবিহারেই এদিন জনসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। অর্থাৎ হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের মঞ্চ কোচবিহার। আর সেখান থেকেই বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে শীতলকুচি প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন মমতা। নাম না করে তোপ দাগেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীর দিকেও।

বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে আক্রমণ শানান মতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভুলে গিয়েছেন নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। তাঁদের মধ্যে চারজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। একজন রাজবংশী। আর যাঁর নির্দেশে গুলি চলেছিল, তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। হাতে এত রক্ত নিয়ে বীরভূমে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় , "তিনি আবার বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে, এত মানুষ মেরে এখনও হাতের রক্ত মোছেনি। এখন বলছে, 'আমি ওখানের এসডিপিও' ছিলাম। সো হোয়াট? কেউ ওসি, কেউ কনস্টেবল, কেউ সিভিক, কেউ এসপি, কেউ ডিএম হতে পারেন। তাই বলে আমার অধিকার নেই কোনও দলের দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেব। দু'টো ডিপি আছে, ভিজিল্যান্স মামলা রয়েছে। রাজ্য সরকার আপত্তি জানানো সত্ত্বেও...আমি জানি না কেন্দ্রের সরকার কোনও আইন, সংবিধান মানে কি না। ওদের একটাই আইন, ওয়ান নেশন অ্যান্ড ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি। নির্বাচন এলেই ভাঁওতা দেওয়া, ছলনা করা, মিথ্যে কথা বলা।"

 জনসভায় বক্তৃতার সময় দেবাশিসের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা।  বলেন, "ভুলে গিয়েছেন! নির্বাচনের সময় শীতলকুচিতে লাইনে দাঁড়ানো পাঁচ জনকে গুলি করে মেরেছিল। এর মধ্যে চার জন সংখ্যালঘু এবং একজন রাজবংশী ভাই ছিলেন। নির্বাচন চলাকালীন ছুটে এসেছিলাম। যে লোকটির নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু'টি ডিপি চলছে, ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে। আইনকানুন কিছু মানে না এরা।" বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীকে আরও  আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটা পার্টির দালালি করে মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পরে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন। আমি জানি না যে কেন্দ্রের সরকার কোনও সংবিধান মানে কিনা।  

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। কয়েকদিন আগেই তিনিই অবসর নেন, এরপর তাঁকেই প্রার্থী করে বিজেপি।২০১০ ব্যাচের আইপিএস ছিলেন দেবাশিস ধর ৷ ২০০১ সাল থেকে ২০০৪  পর্যন্ত বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় জয়েন্ট বিডিও পদে কাজ করেছেন দেবাশিস ধর ৷ ২০০৪ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশে যোগ দেন ৷ পরে ২০১০ ব্যাচে আইপিএস ৷ জানা গিয়েছে, ছাত্র জীবনে এসএফআই করতেন ৷ 'বামমনস্ক' এই পুলিশ অফিসার ২০২১ সালে প্রথম বিতর্কে জড়ান ৷ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন ৷ শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীরগুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয় ৷ তবে, সেই ঘটনায় পুলিশ সুপারের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার ৷ এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে, কমপালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল ৷ মাঝে তিনবছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন তিনি ৷ আর লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই, পুলিশের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন আইপিএস দেবাশিস ধর ৷ আর তার কিছুদিনের মধ্যেই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী তিনি ৷ 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement