ভোটের মাঝে হজে চলে যাচ্ছেন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু মুসলিম। পরিকল্পনা করেই এই সময় হজযাত্রার ব্যবস্থা করেছে মোদী সরকার। যাতে তাঁরা ভোট দিতে না পারেন। শুক্রবার ক্যানিংয়ের সভায় এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিমাল ঘূর্ণিঝড়ের পর ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে ভোট দিতে হবে মানুষকে। সে কথা মনে করিয়ে মমতার বার্তা,'খেলাটা হবে তো। ভালো করে খেলতে হবে। ঝড় হলেও খেলা হবে। ভোটটা কিন্তু ভোট'।
ভোটের সময় হজযাত্রা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'হজে অনেকে বাইরে যাচ্ছেন। এই সময় প্ল্যান করে করেছে মোদী সরকার, যাতে উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ হাজার মুসলিম মোদী ভোট দিতে না পারে। পরে তাঁরা যেতেই পারতেন। পরে পাঠিয়ে দিতাম। কিন্তু এ বছর হত না। সেজন্য তাঁরা ভোট না দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এটা তাঁদের ধর্মীয় ব্যাপার। আমি হস্তক্ষেপ করি না'।
তবে হজযাত্রায় বহু মুসলিম চলে গেলেও পরিবারের লোকেরা যেন ভোট দেন। তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য,'তাঁদের পরিবারের কেউ একটাও ভোট নষ্ট করবেন না। সব ভোট দেবেন। একজন কেউ না থাকলে অন্যরা নিজেদের ভোট দিয়ে দেবেন'।
ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় তিনি মানেন না বলে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়,'তপশিলি ভাইবোনেদের সংরক্ষণ কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছেন মোদী। আমরা করতে দেব না। এটা করার জন্য একটা রায় হল। সেই রায় আমি মানি না। ১৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট নাকি বাতিল করতে হবে। ওখানে হিন্দু আছে, মুসলিমও আছে। কেউ নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না। আমি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি'।
এ দিন মোদীকে সরাসরি নিশানা করেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য,'নির্বাচনের আগে এসে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তাঁর বাবা-মা নেই, তিনি নাকি ঈশ্বরের দূত! ভগবান! ঈশ্বরের দূত হলে মন্দিরে থাকো, তোমার প্রদীপ জ্বেলে দেব। তোমায় তুলসী পাতা দেব, জবাফুল দেব, তুলসী পাতা দেব, তোমায় খিচুড়ি-ধোকলা রান্না করে দেব। ঈশ্বরের দূত বলেকয়ে হয় না। রামকৃষ্ণ নিজেকে ঈশ্বর বলেননি। সবাই তাঁকে মানে। ঈশ্বর কাজের মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়। মিথ্যেবাদী! আবার বলছে, জগন্নাথদেবও ওঁর ভক্ত ছিল। হায় জগন্নাথ দেব! কিছু লোক কেন বিশ্বাস করছে আমি জানি না?'