হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে বসার সময় পড়ে গেলেন মমতা। শনিবার দুর্গাপুর থেকে কুলটি যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। পরে কুলটির সভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই বাড়িতে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কপাল এবং নাকে সেলাই পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে পড়ে গেলেন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল বিস্তর। এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে জানিয়েছিলেন, 'পিছন থেকে ধাক্কা মারার জন্য পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।' এই বয়ান ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও পরে এসএসকেএমের ডিরেক্টর ব্যাখ্যা দেন, 'শারীরিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে পিছন থেকে কেউ ধাক্কা মেরেছেন, এটা বলতে চাইনি। আসলে পড়ে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছিল, তিনি কোনও ধাক্কা খেয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেক সময় এরকম মনে হয়ে থাকতে পারে।' যদিও 'পিছন থেকে ধাক্কা মারা' মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার পর সম্প্রতি পুরোদমে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করেছেন মমতা। তীব্র গরমের মধ্যে রোজই জেলায় জেলায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও চোট পেয়েছিলেন মমতা। বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা সেরে ফেরার পথে গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় ঝাঁকুনিতে কপালে আঘাত পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছরের ২৭ জুন জলপাইগুড়ির ক্রান্তির সভাস্থল থেকে হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরা পৌঁছোনোর কথা ছিল মমতার। মাঝপথে দুর্যোগের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার। শেষে শালুগাড়ায় জরুরি অবতরণ করে কপ্টার। সেখানে সিঁড়ি না থাকায় কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে এবং হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার আবার সেই হেলিকপ্টার। এবার কপ্টারে বসার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন তিনি।