লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কোচবিহারে গিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কোচবিহার জেলায় নাম না করে কয়েক জন পুলিশকর্তাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি যাওয়ার কথা বললেন মমতা।
ঠিক কী বলেছেন মমতা?
শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন মমতা। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক বাইক বাহিনী নিয়ে এলাকায় অশান্তি করছেন বলে অভিযোগ করেন মমতা। তারপরেই তিনি বলেন যে, পুলিশ-প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাঁর কথায়, 'আমি সরি। প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তো ২ মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে দিল্লি চলে যান না এখন। কে বারণ করেছে!' এরপরেই পুলিশকর্তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'হয় দিল্লি যান, না হলে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না।'
পুলিশের উদ্দেশে মমতা এ-ও বলেন, 'সব পুলিশ খারাপ নয়। বেশির ভাগ পুলিশই নিষ্ঠারপ সঙ্গে কাজ করেন, করছেন। ৩-৪ জনের নাম আমার কাছে আছে। শুধু আমার কাছে কেন, সবাই তাঁদের কথা জানে।'
অন্য দিকে, দলের মন্ত্রী উদয়ন গুহের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'উদয়নকে বলব, বি কুল। কুল কুল তৃণমূল। ঠান্ডা মাথায় নির্বাচন করতে হবে। ও তোমাকে গন্ডগোলে জড়িয়ে বিএসএফকে দিয়ে ভোটটা করিয়ে নেবে। ভুলেও সেটা করতে দিয়ো না। আগে থেকে নিজেকে তৈরি রাখো।'
নাম না করে নিশীথকে নিশানা করে মমতা বলেন, 'কাল ওঁর বড় হোম মিনিস্টার এসেছিল। এটা হল কুচোকাচা। চোর চোট্টা চিটিংবাজ।' তারপরে নাম না করে অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, 'সে বুনিয়াদপুরকে বলছে বেলুরঘাট। সে নামটাও জানে না। বালুরঘাট বল না হয়। বুনিয়াদপুর আলাদা। গিয়ে বলছে, উল্টে ঝুলিয়ে রেখে দেব। একথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারেন। কী মিডিয়ার বন্ধুরা আপনারা তখন শুনতে পারেন না। আপনি কাকে বা কাদের ঝুলিয়ে রাখবেন। এত সোজা? এত তাড়াহুড়ো করবেন না। গেমটা এত সোজা নয়। প্রথমে নিজেরটা দেখুন। নিজের চেহারাটা দেখুন।'