লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের নিরাপত্তায় ১০ হাজারের বেশি রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ভোটের অন্তত তিনদিন আগে পুলিশ পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গের তিন লোকসভা কেন্দ্রে। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় বাংলার তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে। ১৯ এপ্রিল ভোট হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। ওই তিনটি আসনের জন্য মোট ১০ হাজার ৮৭৫ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। তাঁদের মধ্যে ৩,৯৫৭ জন সশস্ত্র পুলিশ। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ওই পুলিশকর্মীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে।
এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৭৭০০ জন নিরাপত্তা কর্মী প্রথম দফার নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন। ২৭৭ কোম্পানি বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১৭৭ কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ১০০ কোম্পানি বাহিনীর আসার কথা।
প্রথম দফার ভোটের জন্য ২৭৭ কোম্পানি মোতায়েন করা হবে। কমিশন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি, কোচবিহারে ১১২ কোম্পানি ও জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। আলিপুরদুয়ারে ৫৪৪.৫ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৩ সেকশন বাহিনী। কুইক রেসপন্স টিম থাকবে ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১০৭৭টি।
কোচবিহারের ক্ষেত্রে আবার ৯৭৭.৫ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা আছে কমিশনের। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হতে পারে ৩ সেকশন বাহিনীকে। ২৭ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে কুইক রেসপন্স টিমে। কোচবিহারে মোট ১৮৯৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে।
জলপাইগুড়িতে ৭৫৮ সেকশন বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ৬ সেকশন স্ট্রং রুমে ও ২৮ সেকশন কুইক রেসপন্স টিমে রাখা হতে পারে। তিন কেন্দ্রের সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার সম্ভাবনা প্রবল কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী।