বুধবার, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সমস্ত OBC সার্টিফিকেট বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রায় ৫ লক্ষ সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। আর তারপরেই এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গও তুললেন।
এদিন দমদমের খড়দহের জনসভায় মমতা বলেন, 'আজকেও আমি শুনেছি কোনও একজন জাজকে দিয়ে, যিনি সারাক্ষণ... ভদ্রলোক জাজ হিসাবে তাঁকে আমি সম্মান করি। কাজ নেই, কর্ম নেই ক'দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বলে বেড়াচ্ছেন না? মাইনরিটিসরা তফসিলিদের রিজার্ভেশন কেড়ে নেবে। এটা কখনও হতে পারে? এটা কখনও হতে পারে? তাহলে সংবিধান ভেঙে দিতে হয়। তাহলে কি নরেন্দ্র মোদী চাইছেন দেশটাকে বিক্রি করে দিতে? নাকি সংবিধানকে বিক্রি করে দিতে? সংখ্যালঘুরা কখনও তফসিলিদের সংরক্ষিত আসনে হাত দেবে না। আদিবাসীদের হাত দেবে না। এটা দিতে পারে না, দেবে না, দিতে পারে না।'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন, OBC সার্টিফিকেট বাতিলের এই রায়কে তিনি মানবেন না। শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের রায়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'বদমায়েশ লোকেরা কাজ করায় এজেন্সিকে দিয়ে। কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে। যদিও তার রায় আমি মানি না। যেমন ২৬ হাজার টিচারকে যখন বাতিল করেছিল বিজেপি, আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই আজ বলছি, যে রায় দিয়েছেন, যে-ই দিয়ে থাকুন, নাম বলব না, জাজমেন্ট নিয়ে বলা যায়, বিজেপির রায় এটা। আমরা মানবো না, OBC-র রিজার্ভেশন চলছে, চলবে। সাহস কত বড়! কোর্টে কখনও ভাগাভাগি হয় না, দেশে কখনও ভাগাভাগি হয় না। এটা কলঙ্কিত অধ্যায়।'
উল্লেখ্য, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় অনুযায়ী, এই বাতিল হওয়া OBC সার্টিফিকেট আর কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তবে না, যাঁরা ইতিমধ্যেই এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সংরক্ষণ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ভয়ের কিছু নেই। তাঁদের সার্টিফিকেট বাতিল হবে না।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি শেখর মান্থ্যর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে যে OBC সার্টিফিকেটগুলি তৈরি হয়েছে, তা আইনানুগ হয়নি। সেই কারণেই এগুলি বাতিল করা হচ্ছে।
আদালত উল্লেখ না করলেও, একটি বিষয় স্পষ্ট যে, এই সার্টিফিকেটগুলি অধিকাংশই তৃণমূল সরকারের আমলেই তৈরি হয়েছিল। এই রায়ের বিষয়ে বিশদে জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: OBC Certificate: ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া ৫ লাখ OBC সার্টিফিকেট বাতিল করল হাইকোর্ট