দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। তার আগেই বিজেপিতে কারা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ম্যারাথন বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন না পুরনো, কোন মুখ প্রাধান্য পাবে বিজেপির প্রার্থীতালিকায়, এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ভোটের দিন ঘোষণার আগেই কয়েক জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে পদ্মশিবির। শুক্রবার বাংলায় আসছেন মোদী। তার আগের সন্ধ্যায় প্রার্থী নিয়ে মোদীর বৈঠক আলাদা নজর কেড়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রথমে ২ ঘণ্টা বৈঠক হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদী। সেই বৈঠক শুরু হয় রাত সাড়ে ১০টা থেকে। বৈঠক চলে ৪ ঘণ্টা ধরে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর।
বৈঠকে ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতভর বৈঠকে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থীতালিকায় চমক থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বহু নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। আবার পুরনো নেতাকেও প্রার্থী করতে পারে পদ্মশিবির। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে প্রথম প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, ১০ মার্চের আগে ২৫০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটের দিন ঘোষণার আগেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি।
লোকসভার লড়াইয়ে জিতে ফের মসনদে বসে হ্যাটট্রিক করতে মরিয়া মোদী বাহিনী। বিরোধীদের দুরমুশ করে ভোটে বাজিমাত করতে উঠেপড়ে লেগেছে গেরুয়াবাহিনী। ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পদ্মশিবির।