কলকাতা শহরের একটা অংশে টানা ২ মাস ১৪৪ ধারা জারি করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ২৮ মে থেকে দু’মাসের জন্য মধ্য কলকাতায় ধর্মতলার মোড়ের কাছের একটি অংশে জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। এই নির্দেশের কথা জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ঘটনাচক্রে, আগামী ২৮ মে কলকাতায় ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে তাঁর রোড শো করার কথা।
মোদীর রোড শো-র দিন থেকেই ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল ও পুলিশকে তোপ দেগেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, মোদীর রোড শো বানচাল করতেই এই ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত। যদিও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি করা রুটিন। ‘হিংসাত্মক কর্মসূচির ছক’ চলছে কলকাতায়। যার জেরে কলকাতায় অশান্তি ছড়াতে পারে। তাই এই দু’মাস কলকাতার রাস্তায় ৫ জন বা তার থেকে বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পুলিশ।
এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, '২৮ মে প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় একটি ঐতিহাসিক রোড শো করবেন। সেখানে বাংলার সংস্কৃতি উপস্থাপন করা হবে। আমরা রিপোর্ট পাচ্ছি যে প্রায় ২ লাখ জনগণ সমাবেশে উপস্থিত হবেন। কলকাতা পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করবে। তারা বলেছে যে এটি রুটিন, তবে এটি যদি একটি রুটিন হয় এবং গত বছরও তা বলবৎ থাকে তবে গত বছর ২৫ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সমাবেশ করেছিলেন। সেখানে মিটিং করেছিলেন। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা বাধাগ্রস্ত করতে এবং জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করতেই ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বউবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং কলকাতা ট্রাফিক গার্ডের সদর দফতরের অধীনে কেসি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে এবং বেন্টিক স্ট্রিট বাদে এর আশেপাশের এলাকায় জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঁচজনের বেশি কোথাও জমায়েত করা যাবে না। পুলিশ সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ভোটের আগে ও পরে অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণেই আগাম সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, ওই এলাকাগুলি থেকে সমাজবিরোধী কার্যকলাপের খবর এসেছে পুলিশের কাছে। কোনও রাজনৈতিক মিছিল বা মিটিংকেও টার্গেট করা হতে পারে মনে করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। যে কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এদিকে ১ জুন শেষ দফায় ভোট হবে কলকাতায়। ৪ জুন ফলাফল বেরোবে। যে কারণে মিছিল-মিটিং বন্ধ থাকবে। ২৮ মে থেকে আগামী দু'মাস ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।