CAA-র বিরোধিতা করেছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সমালোচনা করলেন তিনি। স্মৃতির দাবি, 'কোনও কোনও সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় CAA নিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছেন।' মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির এক বৈঠকে যোগ দেন ইরানি। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষরা নিজদেশে নির্যাতিত হওয়ার ভারতে এসেছেন। এদেশে এসেছেন কারণ, তাঁরা নিজেদের ধর্ম রক্ষা করতে চান।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, ' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার একটি পূরণ করা হয়েছে। পূর্বস্থলীতে দেখতে পেলেন কীভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু প্রতিনিধি সিএএ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারপরই স্মৃতির সংযোজন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভোট ব্যাঙ্ক রক্ষা করতে কিছু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন। তবে প্রত্যেক ভারতীয় জানে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই সিদ্ধান্তটি কেবল ন্যায্য এবং সঠিক নয়, এটি মানবিক সিদ্ধান্তও।'
পূর্ব বর্ধমানের সেই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তদ্বন্দ্ব নিয়েও কটাক্ষ করেন স্মৃতি। বলেন,' তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব চলছে। কে দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর কে তার ভাইপোর (দলীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়)? সাংসদ হবেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতন ধর্মকে অপমান করেন এমন সব বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তিনি রাম নবমীর ঠিক আগে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন! তিনি কেবল নির্বাচনের আগে এই ধরনের কাজ করার কথা মনে রাখেন।'
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমাদের নজরদারিতে বাংলায় এনআরসি হবে না। আমরা প্রতিটি ব্যক্তির অধিকারকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করব। এটি নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করব যে কেউ বঞ্চিত না হয়।'