Advertisement

Suvendu Adhikari: 'বলছে ৩০ শতাংশ হিন্দুকে...', হুমায়ুনকে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

অতিসম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভাষণ ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে,'২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথিতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব'।

শুভেন্দু অধিকারী
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 05 May 2024,
  • अपडेटेड 6:06 PM IST
  • তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভাষণ ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে।
  • নাম না নিয়ে হুমায়ুনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু।

জঙ্গিপুরে ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নাম না করে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর জেলে পোরা হবে। 

অতিসম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ভাষণ ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে,'২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথিতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ'। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,'রেজিনগরের কথাও ধনঞ্জয়ভাই (জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী) বলছিল। কী সাহস! বলছে ৩০ শতাংশ হিন্দুকে মেরে তাড়িয়ে দেব। আমি বলে দিলাম, যেদিন বিজেপি সরকার রাজ্যে আসবে প্রথম ওই ব্যাটাকে ধরে জেলে ঢোকাব। আমাকে চেনেন তো'। 

এরপরই শাহজাহানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়,'৩০ ডিসেম্বর বসিরহাটে গিয়েছিল। বললাম শাহজাহান সাবধান হও। তোমার দিন গোনা হচ্ছে। ১ তারিখে ও বলল, মেদিনীপুরের ব্যাটা এলে ছালচামড়াতুলে ছাড়িয়ে নেব। আমি কদিন আগে ওর বাড়ি কাছে সড়বেড়িয়াতে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খেয়ে এসেছি। আমি লড়াইয়ে আছি। শাহজাহান জেলে'। 

শুভেন্দু যোগ করেন,'পুজোর সময় সন্দেশখালিতে গেরুয়া কাপড় দিয়ে প্যান্ডেল করেছিল। সেই গেরুয়া কাপড় খুলে দিয়েছিল জিয়ারুদ্দিন মোল্লা। সবুজ কাপড় লাগিয়েছিল। সেই জিয়ারুদ্দিন এখন জেলের ভিতরে। শক্তিপুরেও যা যা করেছেন, যা যা বলেছেন, আপনারা মনে রাখবেন পৃথিবীটা গোল। সব হিসাব হবে। ২০২৩ সালে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা, হুগলির রিষড়া আর হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছুড়েছিল তৃণমূলের লোকেরা। কোনও সম্প্রদায় নয়।'। 
 
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ২০১৯ সালে উত্তাল হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য,'সিএএ মানে নাগরিকত্ব দেওয়া। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া নয়। ২০১৯ সালে জিয়াগঞ্জে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল তৃণমূল। নিমতিতাতে ৬৮টি দোকান লুঠ হয়েছিল। ৬৭ জন হিন্দু, একজন মুসলিমের দোকান ছিল। রেজিনগর, বেলডাঙা রেলস্টেশন পুড়িয়েছিল। সামসিতে রেললাইনের পাত উপড়ে দিয়েছিল। ঔরঙ্গাবাদে কালী মন্দির ভেঙেছিল। এবারে কেউ ফাঁদে পা দেয়নি। মমতাকে চ্যালেঞ্জ করছি,একটা রাজ্যে আছেন। ৪ জুনের পর সেই রাজ্যেও থাকবেন না'।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement