সোমবার তৃণমূলের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায়। একই সঙ্গে তিনি তাঁর দলো ছেড়ে ছেন। তাঁর ইস্তফা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার সচিবালয়ের তরফে মঙ্গলবার তাঁকে শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল করে বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।। এদিকে, রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা যে তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ও উত্তর কলকাতা আসনে তিনি ভোটে লড়বেন।
বিজেপি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপির হয়ে লড়তে চলেছেন তরুণ নেতা সজল ঘোষ। গত কয়েক বছরে বিজেপির অন্দরে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছেন সজল। এছাড়াও সংগঠক হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। তবে এখন যদি তাপস রায়কে বিজেপি প্রার্থী করে তাহলে সজল ঘোষের কী হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন খোদ সজল ঘোষই। তাঁর বদলে তাপস রায় প্রার্থী হলে সজলের কি খারাপ লাগবে? এই প্রশ্নের জবাবে bangla.aajtak.in-কে তিনি বলেন, 'তাপস রায় আমার থেকে ভাল প্রার্থী। তাপস কাকু রাজনীতিতে আমার গুরু। উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপি প্রার্থী হলে আমি তাঁর জন্য প্রাণ দিয়ে লড়ব। সেটা সময় প্রমাণ করবে। আমি শুধু সমর্থনই করব না, আমি নিজের জন্য যতটা করতাম, ঠিক ততটাই করব। আমার জেতা আর তাপস রায়ের জেতা সমান। আমাদের লক্ষ্য এক, সেটা হল সুদীপকে (পড়ুন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) হারানো।'
সজল আরও বলেন, 'তাপস রায় আমার থেকে যোগ্য। যে কোনও পার্টির জন্য তিনি সম্পদ। আমি তাঁকে দীর্ঘদিন চিনি। কমবেশি ৩৫ বছর চিনি। তাপস রায় বেস্ট প্রার্থী হবেন। আমার এখনও কিছুটা সময় আছে। সর্ব ভারতীয় রাজনীতি করা খুব একটা ইচ্ছা নেই। আমি রাজ্যে রাজনীতি করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।'
তাপসের তৃণমূল ছাড়া, বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়ে সোমবারই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাপসকে কি বিজেপিতে নেওয়া হবে? এই প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'উনি কোনও রাজনৈতিক দলে যুক্ত হবেন কি না বা কোনও দলে যেতে চান কি না, তা নিয়ে কোনও প্রস্তাব আমার বা আমাদের কাছে আসেননি। এলে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির মত নিয়ে আমাদের টিমের সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের অনুমতি নিয়ে জানিয়ে দেব।' এরপরই ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, 'তাপস রায় যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তাতে মনে হয়েছে তিনি দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেন।'