লোকসভা নির্বাচনে আরও চার আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। শনিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠকে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। প্রার্থীতালিকায় অন্যতম চমক হল জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। সেখানে আইএসএফের প্রার্থী করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা শাহজাহান বিশ্বাসকে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল আইএসএফ।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিপুরে শাহজাহান যে আইএসএফ প্রার্থী হচ্ছেন, তা আগেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদের সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দাদার কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
অন্য দিকে, জঙ্গিপুরের পাশাপাশি বনগাঁ, তমলুক, কৃষ্ণনগরের প্রার্থীও ঘোষণা করেছে আইএসএফ। বনগাঁয় প্রার্থী করা হয়েছে দীপক মজুমদারকে। তমলুকের প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কৃষ্ণনগরের প্রার্থী আফরোজা খাতুন মণ্ডল।
কয়েক মাস আগে নওশাদ সিদ্দিকী দাবি করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হবেন। তবে পরে নওশাদ বলেছিলেন,'প্রথম দিনে আমার যে আত্মবিশ্বাস ছিল, আজও সেই আত্মবিশ্বাসই আছে। আমি একশো শতাংশ দিয়ে ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত আছি। শুধুমাত্র দলের অনুমোদনের অপেক্ষা। দল অনুমোদন দিলেই ওখানে আমি লড়াই করব। বর্তমান যিনি বিদায়ী সাংসদ আছেন, তাঁকে হারাব। ওখানে হারের কোনও প্রশ্নই নেই। আমি লড়াই করলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন'। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে লড়ছেন না নওশাদ।
অন্য দিকে, সম্প্রতি মাথাভাঙার সভায় নাম না করে আইএসএফকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আরেকটা নতুন মুসলিমদের দল হয়েছে। যেমন হায়দরাবাদের মিম, বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে নেওয়া ওদের কাজ। যাতে তৃণমূল জিততে না পারে...দয়া করে ওদের চক্রান্তে পা দেবেন না।' এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ভোটের আগের দিন টাকা দেবে, বলবে ঘর করে দেব। টাকা নিয়ে কথা বলব না। আপনার অধিকার নেবেন কি, নেবেন না।'