সোমবারই নিজের নতুন কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুরে পৌঁছে যান দিলীপ। আর মঙ্গলবার সকালেই দুর্গাপুরে চায়ের আড্ডায় জনসংযোগ সারলেন দিলীপ। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষ তৃণমূলের কীর্তি আজাদকেও জবাব দিলেন আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অন্য রাজ্যে তৃণমূলের ফলের প্রসঙ্গ টেনে আনে। অতীতে অসম, মেঘালায়, ত্রিপুরা ও গোয়া-সহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কীর্তি আজাদ। যদিও তিনি এরাজ্যের বাসিন্দা নন। তাই আজ এনিয়ে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ। তবে বেফাঁস মন্তব্যও করে বসেন।
তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, 'কীর্তি আজাদ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁকে আমি দাদার মত সম্মান করি। তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কতটুকু চেনেন তিনি? ভাতার -মন্তেশ্বর এগুলো কি উনি চেনেন? বিরোধী প্রার্থীকে আমি সম্মান করছি। কিন্তু তিনি বাংলার রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। উনি ক্রিকেটের পিচে ভাল ফল করতে পারেন, কিন্তু রাজনীতির পিচ আমাদের তৈরি। কীর্তি আজাদ কিছুই জানেন না, উনি ভোটে লড়তে এসেছেন। দিদির হাত ধরে তিনি এসেছেন, সেই দিদির পা টলছে, তাঁর বাড়ির লোকই তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়, বাংলার লোক কখন ধাক্কা মারবে উনি কিছুই জানতে পারবেন না।' এরপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দিদি গোয়ায় গিয়ে বলে গোয়ার মেয়ে, ত্রিপুরাতে বলে আমি ত্রিপুরার মেয়ে, বাপ তো ঠিক করুক। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।'
পাল্টা তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, 'দিলীপ ঘোষ আপনাকে মাননীয় বলব কি না তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি। একজন সাংসদ হয়ে একজন মহিলাকে, যিনি বাংলার তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, তাছাড়াও ভারতের রেল-সহ অনেক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে যেভাবে, যে ভাষাতে আক্রমণ করলেন, যা বলার অযোগ্য। আপনি তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। আপনি ভেবেছেনটা কী, যা মুখে আসবে তাই বলবেন। কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। বাংলার ও ভারতের ঐতিহ্য বজায় রাখবেন না। মানুষ আপনাকে ঘৃণা করে। মানুষ মেনে নেবে না। আপনি এটা বারবার করেন। আপনাকে সাবধান করা হচ্ছে, এই ধরনের কথা বলবেন না। নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকুন। না হলে আগামীদিন বুঝতে পারবেন বাংলা ও ভারতের মানুষ কী বলবে।'