লোকসভা ভোটের মুখে ফের রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে CAA (নাগরিক সংশোধনী আইন)। পশ্চিমবঙ্গে CAA-র বিরোধিতায় বরাবরই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন সময়ে রবিবার বিজেপি-র লোকসভা সাংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা শান্তনু ঠাকুরের একটি দাবি শোরগোল ফেলে দিয়েছে। শান্তনুর নাম না-করে আজ অর্থাত্ সোমবার কোচবিহারের জনসভায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'যারা NRC-র বিরুদ্ধে লড়েছিল, তারাই এখন ক্যা ক্যা শুরু করেছে। এটা রাজনীতি।'
বস্তুত, রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিশ্চিন্তপুরে একটি সভায় শান্তনু বলেন, 'আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ লাগু করবে। যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দরকার। কারণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই, আমাদের যখন খুশি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বার করে দেয়।' শান্তনুর প্রশ্ন, যাঁরাই এ দেশে এসেছেন, ভোট দেন, আধার কার্ড আছে— তাঁরাই যদি নাগরিক হন তা হলে পাসপোর্টের তদন্তের জন্য ডিআইবি কেন ১৯৭১ সালের আগের দলিল চাইছে?
শান্তনুর এহেন দাবিতে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ মমতা কারও নাম না করে বললেন, 'ভোট আসতেই ফের ক্যা ক্যা করছে।। সিএএ নিয়ে লাফালাফি করলে হবে না। সবাই নাগরিক। নাহলে কেউ ভোট দিতে পারত না। আমরা সবাইকে নাগরিকত্ব দিয়েছি।'
পাঁচ দিনের সফরে একাধিক জেলায় কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার কোচবিহারে প্রথমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এর পর মালদা, মুর্শিদাবাদের কর্মসূচি সেরে কৃষ্ণনগের যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস।
গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল দাঁত ফোটাতেও পারেনি। ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিই গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। এবার তাদের লক্ষ্য ৮-এ ৮ করা। তার আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।