'নির্বাচন কমিশন বিজেপির 'হিজ় মাস্টার্স ভয়েস'-এর মতো কাজ করছে'। মঙ্গলবার বাংলায় বিরাট জয়ের পর এই দাবিই করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করলেন,'কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থী জয়ের পরেও সার্টিফিকেট আটকে রেখে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাবে বলে'। তাঁর বক্তব্য,'অনেক রাজনৈতিক দলকে ভেঙেছে মোদী, এ বার জনতা ওদেরকেই ভেঙে দিয়েছে। অবিলম্বে মোদী-শাহের পদত্যাগ করা উচিত'।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,'কাঁথিতে আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপির হয়ে কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক। তিনি সার্টিফিকেট দেননি। এমন আরও কয়েকটি আসনে সার্টিফিকেট দেয়নি। অনেক আসনে ৫-৭ হাজার ভোটে হেরেছি। পর্যবেক্ষকরা রাজনীতি করেছেন। তমলুকে নির্বাচন হয়নি। নন্দীগ্রামে ওখানে রিগিং করেছিল। ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে বোঝা যাবে ওখানেও হেরেছে। কাঁথির আসনে জেতার পর বিজেপির পর্যবেক্ষক রাজনীতি করছেন'।
শুধু এ রাজ্যেই নয়, উত্তরপ্রদেশেও নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়,'অখিলেশ আমাকে এখনও বলেছে, কয়েকটা আসনে সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। জেতার পরও কমিশন চেষ্টা করছে যাতে বিজেপির কয়েকটি আসন বাড়ানো যায়'।
মমতা আরও বলেন,'আমাদের দলের লোককে হারিয়ে দিয়েছে। আমি তাও অভিনন্দন করতে চাইব তাদের (পরাজিত প্রার্থীদের)। কারণ তাঁরা হিম্মত করে লড়াই করেছে। আমি আজকের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বলতে চাই,বিজেপি কমিশনের মতো কাজ করেছে। আমরা পুনর্গণনা চাইলে দিল না। মোদীর আসন ১০-১২টি বাড়িয়ে নিতে চায় ওরা'।
বসিরহাটে জয়লাভ করেছে ঘাসফুল শিবির। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতার বক্তব্য,'সন্দেশখালির মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। যে বুথে চক্রান্ত করেছিল, সেই বুথেও জিতেছি। বসিরহাটে দু'লক্ষ ভোটে জিতেছি। বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকে সম্মান দিয়েছে। আমাদের সব টাকা মোদী আটকে রেখে দিয়েছে। আমি চাই আমাদের সব টাকা দেওয়া হোক'।
১৯৯৯ সাল থেকে টানা বহরমপুরের সাংসদ ছিলেন অধীর চৌধুরী। সেই অধীর হারলেন। এনিয়ে মমতার কটাক্ষ,'অহংকার পতনের কারণ। উনি কংগ্রেসের লোক নন। বিজেপিকে হারিয়েছে মানুষ। ইউসুফ পাঠান বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি'।