নকশালবাড়ির হাতিঘিষার ছোট্ট জনপদ সেবদাল্লাজোত। তার মধ্যে একটি ছোট্ট বাড়িতে এখনও মুছে যায়নি লাল রং। নকশাল আন্দোলনের পীঠস্থান এই বাড়িটিতেই শেষ জীবনে থাকতেন, সশস্ত্র কৃষক আন্দোলন, যা নকশাল আন্দোলন নামে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে, সেই বিপ্লবের পুরোধা কানু সান্যাল। ষাট,সত্তরের দশকে উত্তাল সময়কে শুধু স্মৃতি করে ধরে রেখে দিয়েছে এই বাড়ি। পুরনো কিছুই আর আগের মতো নেই। শুধু কানু সান্যাল, চারু মজুমদারদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে একসময় রাষ্ট্রকে ছুটিয়ে বেড়ানো সেদিনের দোর্দণ্ডপ্রতাপের ছায়া হিসেবে এখনও রয়ে গিয়েছেন শান্তি মুণ্ডা। ৮২ বছর বয়সে পা দিয়েছেন কিছুদিন আগেই। শেষ কয়েকদিন তিনি কানুবাবুর সঙ্গেই ছিলেন। তিনি এখনও স্বপ্ন দেখেন, বেকারদের চাকরি হবে। সাম্যবাদ আসবে। তাই কংগ্রেস, সিপিএম হয়ে তৃণমূল কিংবা বিজেপি কোনও রংয়েই শান্তি খুঁজে পান না। তাই ভোট দেবেন কাকে এখনও পরিষ্কার করে ভেবে উঠতে পারেননি।