এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি। তার আগেই তমলুক সফরে প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি নেতা অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তমলুকে প্রার্থী হিসেবে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামেই দেওয়াল লেখা একাধিক শুরু করে দিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যার নির্যাস, বলা যেতেই পারে, আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে 'জমি জরিপ' করে নিলেন অভিজিত্।
মঙ্গলবার তমলুকে দেবী বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। সেখানে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। অভিজিৎ বলেন, 'তমলুকে মানুষজনের আন্তরিকতা, যে ভালোবাসা আমি পেলাম, তা দেখে আমি অভিভূত।' এরপর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তিনি কি তমলুক থেকে প্রার্থী হচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, 'আমি আজকে এখানে পুজো দিতে এলাম, তারপর দেখা যাক লিস্ট বের হোক। বিজেপি যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই আমি মানব।' প্রসঙ্গত, তমলুক আসার আসে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পোস্টার দিয়ে তাঁর বিরোধিতা করা হয়। সেটা নিয়ে তিনি বলেন, 'লোকে তো বিরোধিতা করবেই, করতে দিন, কিন্তু একটা কথা সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যে তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়। আমরা জোচ্চুরি, জালিয়াতি, দুর্নীতি অনেক দেখলাম, আর নয়। সুদিন আসতে চলেছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের পর ২০২৬-এ দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরিয়ে আমাদের বাংলায় ক্ষমতায় আসতে হবে। নয় তো পশ্চিমবঙ্গ, বাঙালি বাঁচবে না, যেভাবে প্রতিটা ক্ষেত্র ধ্বংস করা হয়েছে, তৃণমূল জোচ্চুরি করছে, নিজেদের ঘরে টাকা কামাচ্ছে, পাঁচশো বা হাজার টাকা দিয়ে প্রতিদিন এক কোটি টাকা চুরি করছে, এটাকে ধ্বংস করতে হবে।' সিএএ কার্যকর নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং তিনি মানুষের প্রতিক্রিয়া কী, তা জানতে চেয়েছেন।
এরপরই তিনি মন্দিরে পুজো দেন। এদিন বেশ কিছুক্ষণ মন্দিরে থাকেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মন্দির দর্শনের আগে তমলুকে দলীয় কার্যালয়ে যান অভিজিৎ গাঙ্গুলী। বাইক র্যালি করে তাঁকে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক প্রস্তর বৈঠক হয় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এবং ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, আজই হয়ত নন্দীগ্রামেও যেতে পারেন তিনি। সঙ্গী হিসেবে থাকবেন সেখানকার বিধায়ক, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম থেকে কাঁথি যাওযার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।