আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে কংগ্রেসের নিন্দা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে এটি ভারতের চেয়ে পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য বেশি উপযুক্ত। তিনি দাবি করেন, ক্ষমতায় আসতে সমাজকে বিভক্ত করার লক্ষ্যে ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার, কংগ্রেস আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য তার ইশতেহার প্রকাশ করেছে এবং ভোটের নথিতে পাঁচটি 'ন্যায়' এবং সেইগুলির অধীনে ২৫টি গ্যারান্টি দিয়েছে। পার্টির দেওয়া কিছু প্রতিশ্রুতি ছিল এমএসপি, একটি দেশব্যাপী জাতশুমারি এবং অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের আইনি গ্যারান্টি।
হিমন্তের দাবি, কংগ্রেসের ইশতেহার হল তুষ্টির রাজনীতি। তিনি বলেন, 'এটি তুষ্টির রাজনীতি এবং আমরা এটির নিন্দা করি। ইশতেহারটি মনে হচ্ছে এটি ভারতে নির্বাচনের জন্য নয়, পাকিস্তানের জন্য। হিন্দু বা মুসলিম কেউই তিন তালাকের পুনরুজ্জীবন চায় না বা বহুবিবাহ বা বাল্যবিবাহকে সমর্থন করে না। কংগ্রেসের মানসিকতা হল সমাজকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় আসা।' বিজেপি অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন হিমন্ত। তিনি বলেন যে বিজেপি একটি 'আন্দোলন'-র রূপ নিয়েছে, যা দেশকে 'বিশ্ব গুরু' করে তুলবে।
অন্যদিকে, পাল্টা কংগ্রেসের তরফে হিমন্তকে আক্রমণ করা হয়েছে। কটাক্ষের সুরে বলা হয়েছে, তাঁর মতো একজন টার্নকোট গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বুঝতে সক্ষম হবে না। সম কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত বোরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'হিমন্ত বিশ্বশর্মা বেশ কয়েক বছর ধরে কংগ্রেসে ছিলেন, কিন্তু তিনি দলের মূল নীতি বুঝতে পারেননি। সেই কারণেই তিনি বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপিতে থাকার পরেও, তিনি এখনও কংগ্রেসকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন। তিনি বিজেপির প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রমাণ করুন।'