Advertisement

'ভোটে স্থগিতাদেশ চাই,' ভবানীপুর-অশান্তি ইস্যুতে দিলীপ

ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে প্রচারে বিজেপি কর্মীদের ওপর মারধরের সমালোচনায় এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ বাবু ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান,"ভবানীপুরে বহু লোক এসে ঘিরে নেয়। আমার সঙ্গে চার-পাঁচজন ছিলেন তাদের মারধর করেন। মহিলারাও ছিলেন। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বের করেন ভয় দেখানোর জন্য। আমাদের সাংসদ অর্জুন সিংকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।"

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Sep 2021,
  • अपडेटेड 4:42 PM IST
  • বিজেপি কর্মীদের মারধরের সমালোচনায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ
  • সোমবার ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের শেষ বেলায় ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে যদুবাবুর বাজার এলাকা
  • দিলীপ ঘোষকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়

ভবানীপুরে (Bhabanipur By Poll) যদুবাবুর বাজারে প্রচারে বিজেপি কর্মীদের ওপর মারধরের সমালোচনায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)। এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ বাবু ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান,"ভবানীপুরে বহু লোক এসে ঘিরে নেয়। আমার সঙ্গে চার-পাঁচজন ছিলেন তাদের মারধর করেন। মহিলারাও ছিলেন। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বের করেন ভয় দেখানোর জন্য। আমাদের সাংসদ অর্জুন সিংকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল যখন পাড়ায় পাড়ায় প্রচার করছিলেন তাঁকেও বাধা দেওয়া হয়। ১৪৪ ধারা জারি করে। পরবর্তীকালে আমাদের মাননীয় রাজ্য সভাপতিকে প্রচারে আটকানো হয়।" 

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, "স্থানীয় পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেননি। পরে যখন এসপি আসেন, তাঁকে খুব মারা হয়।" তাঁর আরও মন্তব্য, "এই যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখানে আইন শৃঙ্খলা নেই। কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি ভোটারের কাছে পৌঁছতেই না পারি, নির্বাচনের কী মানে? গায়ের জোরে ভোটে জেতানোর চেষ্টা হচ্ছে। সব দেখে বলছি ফ্রি, ফেয়ার নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন স্থগিতে হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশনে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। সাধারণ মানুষ যখন মনে করবে, আমরা যখন ঠিকভাবে প্রচার করতে পারব তখন নির্বাচন হবে।"

নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখানোয় দিলীপ বাবুর মন্তব্য, "মমতা সারাজীবন নির্বাচন লড়তেই থাকবেন? একজনের ইচ্ছায় নির্বাচন হচ্ছে। গায়ের জোরে নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রতি ঠিক নয়। আজ পুলিশও ছিল না। আমার জীবনের সংশয় ছিল, তাই নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বার করেছেন। হাইভোল্টেজ নির্বাচনে সমস্ত নেতা, মন্ত্রীদের লাগিয়েছেন, আমরাও তাই করছি। উচিত ছিল আমাদের সমান সুরক্ষা দেওয়া।"

সোমবার ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের শেষ বেলায় ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে যদুবাবুর বাজার এলাকা। দিলীপ ঘোষকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। কর্মসূচীতে হামলা, ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হামলায় মাথা ফাটে এক বিজেপি কর্মীর। সেখানে গিয়ে টিকাকরণ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢোকেন বিজেপি সাংসদ। এরপরই ধস্তাধস্তি করে প্রচারে বাধা দেওয়া হয় বলে দিলীপের অভিযোগ।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement