রাজ্যের একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের মুখে চিন্তার কারণ হাতির দল। বন দফতর সূত্রে খবর, ১০০ হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। সেইসব হাতিরা যাতে লোকালয়ে না ঢুকে পড়ে, সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বনদফতরের। হাতি নিয়ে এই মুহূর্তে কার্যত নাজেহাল ঝাড়গ্রাম জেলা। নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
ঝাড়গ্রাম জেলার বনাঞ্চল চারটি ডিভিশনে বিভক্ত। এই চারটি ডিভিশনে প্রায় একশোটার কাছাকাছি হাতি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারমধ্যে ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে রয়েছে ৭৩টি হাতি। খড়গপুর ডিভিশনে রয়েছে ২২টি হাতি। বাকি দুটো-তিনটে করে হাতি রয়েছে মেদিনীপুর এবং রূপনারায়ণ ডিভিশনে।
হাতির হামলার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ১৪০টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি তিনটি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দু'শোরও বেশি। তাই জঙ্গল লাগোয়া এই বুথগুলোতে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা ও নজরদারি। ওই এলাকার জঙ্গলের প্রতিটি রেঞ্জে তিন থেকে পাঁচটি করে মোবাইল টিম, দুটো করে হুলা টিম, এবং তিনটি করে গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
বুথ এলাকায় হাতি থাকলে হুলা পার্টি তা সামলাবে। ইতিমধ্যেই হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করেছে বন দফতর। ভোর ভোরই ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান। হাতির করিডোর দিয়ে মানুষের যাতায়াত আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। বসানো হচ্ছে ড্রপ গেটও।