Advertisement

Kangana Ranaut: প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই বাজিমাত! শেষ হাসি হাসলেন 'ক্যুইন' কঙ্গনা

Kangana Ranaut: মিটু থেকে বলিউডের স্বজন-পোষণ, সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যু, মুম্বইয়ের শিবসেনা সরকারের বিরোধিতা, সব বিতর্কিত বিষয়ে নাম রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের। কিন্তু এই সব বিষয় এখন রীতিমতো অতীত। মান্ডিতেও শেষ হাসি হাসলেল বলিউড ক্যুইন কঙ্গনা রানাওয়াত।

কঙ্গনা রানাওয়াত
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Jun 2024,
  • अपडेटेड 4:16 PM IST
  • মিটু থেকে বলিউডের স্বজন-পোষণ, সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যু, মুম্বইয়ের শিবসেনা সরকারের বিরোধিতা, সব বিতর্কিত বিষয়ে নাম রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের।

মিটু থেকে বলিউডের স্বজন-পোষণ, সুশান্তের রহস্যজনক মৃত্যু, মুম্বইয়ের শিবসেনা সরকারের বিরোধিতা, সব বিতর্কিত বিষয়ে নাম রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের। কিন্তু এই সব বিষয় এখন রীতিমতো অতীত। মান্ডিতেও শেষ হাসি হাসলেল বলিউড ক্যুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নেমেই বাজিমাত করলেন কঙ্গনা। আর জেতার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মান্ডিবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বিজেপির জয়ী সাংসদ। 

কঙ্গনা এদিন তাঁর ভোট প্রচারের চেনা পোশাকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, সমস্ত মান্ডিবাসীকে এই জন সমর্থন, এত ভালবাসা ও বিশ্বাসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই জয় আপনাদের সকলের জন্য। এই জয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজি ও বিজেপির বিশ্বাসের, এই জয় সনাতন ধর্মের, এই জয় মান্ডির সম্মানের জয়। কঙ্গনা তাঁর বিশেষ এই দিনে মায়ের আশীর্বাদ নেন। তিনি তাঁর মাকেই ভগবানের রূপ বলে মনে করেন। অভিনেত্রীর মা দই চিনি খাইয়ে মেয়ের মিষ্টিমুখ করেন। কঙ্গনা এরপর অম্বিকা মায়ের মন্দিরে গিয়ে পুজোও করেন। 

জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে কঙ্গনা বলেন, আজকের এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয়কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথানত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্য়া, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব।  

‘খাঁটি দেশপ্রেমিক’ হিসাবে তিনি নিজেকে আগেই চিনিয়ে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর জন্য বলিউডের হুজ-হু’র সঙ্গে লড়াই করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁর খেসারত দিতে হয়েছে তাঁকে। তবে ঠোঁটকাটা কঙ্গনা অকুতোভয়। কোনও রকম লড়াই লড়তেই তিনি পিছপা নন কখনও। রাজনীতিতে এসেও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। মান্ডির ভোটের অঙ্কটা এবার মোটেও সরল ছিল না। লড়াইটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আত্মপ্রতিষ্ঠা বনাম আত্মরক্ষার। রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বনাম রাজনৈতিক অস্তিত্বরক্ষার। সেই লড়াইয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল খোদ কঙ্গনা। তাঁর প্রবল প্রতিপক্ষ ছিলেন মান্ডির ‘রাজাসাহেব’ বিক্রমাদিত্য সিং। মান্ডির প্রয়াত রাজা বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র। বীরভদ্র সিং হিমাচলের রাজনীতিতে কিংবদন্তি। বহুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। হিমাচলে ‘বীরভদ্র মডেল’ বেশ জনপ্রিয়ও। যার সুফল সবচেয়ে বেশি পেয়েছে মান্ডিই। বিক্রমাদিত্যর বয়স মোটে ৩৩। ধারেভারে রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই এগিয়ে। কঙ্গনার জন্য মান্ডির লড়াই ছিল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা পাওয়ার। কিন্তু বিক্রমাদিত্যর জন্য লড়াইটা নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার। এই আবহে অভিষেকেই ব্লকবাস্টার পারফরমেন্সের নমুনা রাখা সহজ নয়। কঙ্গনা পারলেন।

Advertisement

তবে মান্ডিতে জেতাটা মোটেও কঠিন ছিল না কঙ্গনার ক্ষেত্রে। তবে অতীতে তাঁকে ঘিরে যা বিতর্ক হয়েছে, তাঁর প্রভাবও পড়েছিল ভোটে। রক্ষণশীল হিন্দুদের একাংশের আপত্তি ছিল কঙ্গনার অভিনয় পেশা এবং পোশাকআশাক নিয়ে। তবে এই সবকিছুর পাশাপাশি কঙ্গনার প্লাস পয়েন্ট ছিল মোদী হাওয়া। তবে ভোটের জন্য প্রাণপন পরিশ্রম করেছেন কঙ্গনা। মান্ডির মানুষ শেষ পর্যন্ত তাঁকে আশীর্বাদই করেছেন। ‘রাজাসাহেব’কে ধরাশায়ী করে অভিষেকে কঙ্গনাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু বলিউডে নয়, রাজনীতিতেও তিনি ‘ক্যুইন’। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement