ভোটের পরদিন ফের নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। রবিবার আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ হাতে ফের রাস্তায় ‘রণংদেহী’ মহিলারা। পুলিসের আটক করা এক ব্যাক্তিকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি চলছে।
এদিন সকাল থেকে সন্দেশখালির আগারহাটি মণ্ডলপাড়ায় ধুন্ধুমার। এদিন পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রামে ঢুকে ধরপাকড় শুরু হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রামে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরই মধ্যে একজন অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেন গ্রামের মহিলারা।
এদিন সকাল থেকে সন্দেশখালির একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। দুপুর গড়াতেই রাস্তায় গাছের ডাল, বাঁশ হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামের মহিলারা। পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন মহিলা। এখন সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশে ছয়লাপ।
ভোটের দিন এক পুলিশ কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন তাঁদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলার কথা। ভোটের পরের দিনই সন্দেশখালিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী ৪ জুন পর্যন্ত ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা থাকবে।
উল্লেখ্য, ভোটের দিন দফায় দফায় অশান্ত হয়ে ওঠে বেড়মজুর, বয়ারমারি, আগারহাটি, কানমারি সহ সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা। এদিনও সন্দেশখালির মহিলাদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করতে দেখা যাচ্ছে।