ত্রিপুরার নির্বাচন মোটের উপর ওপর শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে, ত্রিপুরায় নাকি আবার BJP ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ত্রিপুরাবাসীর মন বুঝতে যার জন্য বিজেপির হাইকামান্ডকে ত্রিপুরায় ছুটে যেতে হয়েছে। তালিকা থেকে বাদ যায়নি অমিত শাহের নামও। যদিও ত্রিপুরাবাসীর মধ্যে BJP সরকারকে নিয়ে ক্ষোভ একটুও কমেনি। তাঁদের দাবি গত 5 বছরে সেখানে কোনও উন্নয়নই হয়নি। বঞ্চিত থেকে গেছেন আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষ। অন্যদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি বলছে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। কংগ্রেস শিবিরের তরফে প্রচার করার সময় বারবার বলা হয়েছে কংগ্রেসের উপর নতুন করে আস্থা রাখছেন সেখানকার মানুষ। কংগ্রেস নাকি আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পাশাপাশি TMC-র তরফেও প্রচারে কোনও খামতি রাখা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় -অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েছেন ত্রিপুরায়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে যে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে, সেগুলি ত্রিপুরাবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ত্রিপুয়ায় TMC-র উপর ভরসা রাখতে নারাজ সেখানকার মানুষজন। যেখান থেকে বাম-কংগ্রেস জোটের ভূমিকা নতুন করে সামনে আসছে। ফলাফল ঘোষণা হতে আর কটা দিন বাকি। বাম নেতাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছে। যদিও ভোটের পর থেকেই বিরোধীদের উপর হামলার অভিযোগ সামনে আসছে। শারীকিক আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, বাড়িতে আক্রমণ বাদ পড়ছে না কিছুই। এমনই অভিযোগ। এখন দেখার মসনদ কার দখলে থাকবে।