রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের চারিদিকে দুর্নীতি হচ্ছে। বিরোধীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। রাজ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না বিরোধীরা। নৃশংস ভাবে দমন করা হচ্ছে। আমি সতর্ক করার পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে রাজ্যে। (সব ছবি-পিটিআই)
নাড্ডার কনভয় হামলা নিয়ে ধনখড় বললেন, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের আচরণ সংবিধানের পক্ষে অবমাননাকর। যা হল তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক। এমন যেন আর না ঘটে। মুখ্যসচিব ও ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি।
রিপোর্ট প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে আমি রিপোর্ট পাঠিয়েছি। কয়েকজন আমলা সরকারি অফিসার হয়েও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। এমন ২১ জন আমলার নাম নথিভুক্ত করেছি।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করছি। ভারতীয়দের বহিরাগত বলছেন উনি। ভারত এক দেশ সব নাগরিক সমান। দয়া করে আগুন নিয়ে খেলবেন না একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাষী কী করে প্রয়োগ করেন। উনি ক্ষমা চাইলে ওনারই সম্মান বাড়বে। (ফাইল ছবি)
রাজ্যপাল বলেন. রাজ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না বিরোধীরা। রাজ্যে দুর্নীতি ও পক্ষপাতমূলক আচরণকে প্রশয় দেওয়া হয়। বিরোধীদের আন্দোলনে নৃশংসভাবে দমন করা হচ্ছে।
রাজ্যপাল বলেন, প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চিঠি পাঠালেও সাড়া দেওয়া হয় না। আমার সংবিধানিক দায়িত্বকে লঘু করা যাবে না।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাজটা কী। অবসরের পরেও সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা। এডিজি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকার সময়ে মানবধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্যপাল বলেন, সংবিধান রক্ষা আমার কর্তব্য। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও সংবিধানিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ওনাকে সংবিধান মেনে চলতেই হবে।
তিনি বলেন, ভাষা জ্ঞানেরও সবার ঠিক রাখা উচিত। কেউ যদি আমায় আঙ্কেল বলেন আমি উপেক্ষা করতে পারি। কিন্তু বারবার তা পারি না। (ছবি- মহুয়া মিত্রের সেই টুইট, যেখানে তিনি নাম না করে অ্যাঙ্কল বলেছিলেন)
এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, বহু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চিঠি দিয়েছি মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু একটারও জবাব আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজের সাংবিধানিক কর্তব্য থেকে সরলে আমার দায়িত্ব শুরু হবে।