Advertisement

'কারও দিকে আঙুল তুলছি না, কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত ছিল,' BJP-তে যোগ দিয়ে প্রতিক্রিয়া মিঠুনের

তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? রাজ্য রাজনীতিতে গত কয়েকদিন ধরেই এই আলোচনাই চলছিল। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাগুরু হাতে নিলেন গেরুয়া পতাকা। শুরু হল জীবনের এক নতুন অধ্যায়। ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী স্বীকার করেন, তিনি জীবনের প্রথমে বামপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। সবসময় গরিব মানুষের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যে একসময় বামপন্থী ছিলেন তা কারও কাছে অজানা নয়। তবে সবচেয়ে বড় চমকটা তখনও অপেক্ষা করছিল।

একদা বামপন্থী মিঠুনের গেরুয়াতে যোগদানে বিজেপির কাছে বড় সাফল্যএকদা বামপন্থী মিঠুনের গেরুয়াতে যোগদানে বিজেপির কাছে বড় সাফল্য
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Mar 2021,
  • अपडेटेड 7:15 PM IST
  • একদা বামপন্থী মিঠুনের গেরুয়াতে যোগদানে বিজেপির কাছে বড় জয়
  • বহু দিন ধরেই বাংলায় এক নির্ভরযোগ্য মুখের সন্ধানে ছিল বিজেপি
  • তিনি যে একুশের ভোটে ময়দানে নামছেন ব্রিগেড থেকেই স্পষ্ট করেছেন মহাগুরু

তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? রাজ্য রাজনীতিতে গত কয়েকদিন ধরেই এই আলোচনাই চলছিল। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাগুরু হাতে নিলেন গেরুয়া পতাকা। শুরু হল জীবনের এক নতুন অধ্যায়। ব্রিগেডের মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী স্বীকার করেন, তিনি জীবনের প্রথমে বামপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী ছিলেন। সবসময় গরিব মানুষের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যে একসময় বামপন্থী ছিলেন তা কারও কাছে অজানা নয়। তবে সবচেয়ে বড় চমকটা তখনও অপেক্ষা করছিল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মিঠুন বলেন, 'আমি কাউকে অপরাধী বলব না, কারও দিকে আঙুলও তুলব না, তবে এটা আমার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।'

 

ব্রিগেডের মঞ্চে মিঠুন

তবে একুশের  নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন  কিনা সেই সম্পর্কে  অবশ্য কিছুই পরিষ্কার করেননি মিঠুন। তবে প্রচারের ময়দানে তাঁকে পাওয়া যাবে বলেই দাবি করছেন বাংলায় বিজেপির প্রধান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার বাংলার পাশাপাশি হিন্দিভাষীদের কাছেও সমান গ্রহনযোগ্য। ভোট ময়দানে মিঠুনকে সেই কাজেই এবার ব্যবহার করতে চাইছে এবার গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন

 

বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মিঠুন

আসলে দীর্ঘদিন ধরেই নামকরা একটা বাঙালি মুখের সন্ধান করছে বিজেপি শিবির। সেই হাওয়াতেই কখনও শোনা গিয়েছে সৌরভের নাম, আবার কখনও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তবে একদা বাম ঘনিষ্ঠ মিঠুনের তৃণমূল সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় প্রাপ্তি। রবিবার ব্রিগেড ময়দান দিয়েই বাংলায় বোটপ্রচার শুরু করলেন মোদী। আর সেখানে একসময় তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাওয়া মিঠুনের যোগদান নিঃসন্দেহে মাইলেজ দেবে গেরুয়া শিবিরকে। 

সরস্বতী পুজোর দিন মিঠুনের মুম্বইয়ের বাড়িতে আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের আগমণ থেকেই নতুন জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরপর থেকেই মিঠুনকে নিয়ে ইঙ্গিতবাহী বার্তাও পাওয়া যাচ্ছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে নিজের ভাষণের মূলল্যবান সময় ব্যয় করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকেও। মোদী বলেন, বাংলায় মিঠুনদার গুরুত্ব সবাই জানেন। নব্বইয়ের দশকে তার সুপারহিট ছবিগুলি ছিব দুর্নীতি, শোষণ ও অবিচারের বিরুদ্ধে। এখন বাস্তব জীবনে বাংলাকে বাঁচাতে গেরুয়া হাত ধরেছেন তিনি। 

Advertisement
মোদীর সঙ্গে মিঠুন

২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার এলে মিঠুনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাঁকে রাজ্যসভাতেও পাঠান মমতা। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে তার নাম উঠে আসার পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান মিঠুন। একসময় রাজ্যসভার পদ থেকে পদত্যাগও করেন। সারদা কর্তার থেকে নেওয়া টাকা ইডির দফতরে গিয়েও ফিরিয়ে দেন। এরপর রাজনৈতিক সন্ন্যাসে ছিলেন তিনি। যদিও ২০১৯ সালে পুনেতে আরএসএসের সদর দফতরে তাঁকে একবার দেখা গিয়েছিল। তখনি মিঠুনের গেরুয়ো যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনা এবার একেবারে বাস্তবে। শনবিরা রাতেই কলকাতায় আসেন মিঠুন। তারপর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তাঁর বৈঠক মিডিয়ার সামনে আসতেই মিঠুনের গেরুয়া যোগ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। বিজয়বর্গীয়র মিঠুনকে নিয়ে ট্যুইট সেই জল্পনাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এদিন ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারের কথা নিজেই জানিয়েছেন মিঠুন। তবে তিনি ভোটের ময়দানে নামছেন কিনা, বা তিনিই গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিনা, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। 

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement