দলবদলের রাজনীতিকে কটাক্ষ করলেন শিল্পী, প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন (Kabir Suman)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর গানকে আশ্রয় করে দলবদলকারী নেতাদের আক্রমণ করেছেন। এ ব্যাপারে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেছেন কবীর সুমন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-এর গানকে প্যারোডি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। কোনও ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গানকেই হাতিয়ার করেন কবীর সুমন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন গান লেখেন তিনি। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে। বারবার তা দেখা গিয়েছে।
কিন্তু প্যারোডি করছেন এমনটা বিশেষ দেখা যায়নি। এই প্রথম সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রথম তাকে প্যারোডি করতে শোনা গেল। রবীন্দ্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাগরণে যায় বিভাবরী গানটিকে গানটির প্যারোডি করেছেন তিনি। এবং যারা দল বদল করেছেন তাদের শ্লেষাত্মক ভঙ্গিতে আক্রমণ করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর প্যারোডি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
তিনি লিখেছেন, 'দল ছাড়িলাম চুরি করি/ দল ছাড়িলাম চুরি করি/ আবার লাইব পকেটও ভরি/ হে পকেট ভরি/ বিজেপি ধরি।'
তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ইস্যুতে বারবার সোচ্চার হয়েছেন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে হেনস্থার অভিযোগে তিনি পথে নেমেছিলেন। কলকাতার বাংলা আকাদেমি চত্বরে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন।
বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে গানকেই হাতিয়ার করেছেন এই শিল্পী। আগে গান লিখে, সুর করে আপলোড করে দিতেন নিজের ওয়েবসাইটে। কিন্তু এদিন তিনি করেছেন ফেসবুকে। আর তারপরই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা।
গত কয়েক বছরের রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন ধারার প্রবর্তন হয়েছে। তা হল দলবদল। অভিযোগ, তৃণমূলের হাত ধরে এই প্রবণতা সূত্রপাত। ঘটনা হল বিরোধীদল ভাঙিয়ে তৃণমূল নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়েছে। সিপিআইএম, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলে থাকা অনেক নেতা, বিধায়ক, সাংসদকে নিজেদের দলে এনেছিল তৃণমূল। তবে এখন যেন পাল্টা হাওয়া চলছে। তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। তৃণমূল থেকে অনেকে চলে গিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, অর্জুন সিং।