Advertisement

"মন্ত্রীদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা", রাজীবের ইস্তফায় হাওড়া জেলা তৃণমূলকে বিঁধলেন বৈশালী

"হাওড়াকে (Howrah) নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে জেলার কিছু নেতা শেষ করে দিলেন। মন্ত্রীদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।" মন্ত্রী পদে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ইস্তফা প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হাওড়ায় জেলা তৃণমূলকে (TMC) এভাবেই একহাত নিলেন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)।

বৈশালী ডালমিয়া
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Jan 2021,
  • अपडेटेड 2:23 PM IST
  • হওড়া জেলা তৃণমূলকে বিঁধলেন বৈশালী
  • "কিছু মানুষ উইপোকার মতো দলটাকে খেয়ে ফেলছে"
  • অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের


"হাওড়াকে (Howrah) নিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে জেলার কিছু নেতা শেষ করে দিলেন। মন্ত্রীদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।" মন্ত্রী পদে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ইস্তফা প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে হাওড়ায় জেলা তৃণমূলকে (TMC) এভাবেই একহাত নিলেন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। বৈশালী বলেন, "জন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। দলকে অনেকবার জানিয়েছেন। উইপোকার মতো কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ভিতর থেকে দলটাকে খেয়ে ফেলছেন, কিন্তু  জানি না তাঁদের কেন ধরা হচ্ছে না। তাঁদের দল থেকে বহিস্কার করে দেওয়া উচিত। যাঁরা ১০ জনকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, সেই ১টা দুষ্টুলোকের কি খুব দরকার? বুঝতে পারছি না।"

বালি বিধানসভার প্রতিটা ওয়ার্ডে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন বৈশালী। এই বিষয়ে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। তাঁরাই ৩ তলার জায়গায় ১০ তলা বিল্ডিং তোলার বেআইনি অনুমতি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বৈশালী। এক্ষেত্রে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ থেকে ৪ তলার অনুমতি নিয়ে একটি ৭ তলা বিল্ডিং তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি তাঁর নামে বহিরাগত পোস্টার লাগানো হয়েছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন বৈশালী। 

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও প্রকাশ্যে, কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় উগড়ে দিচ্ছিলেন নিজের ক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজীবের সঙ্গে একাধিকবার কথাও বলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন রাজীব। 

যদিও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "তাঁকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্ত তিনি না বুঝলে কী করা যাবে। হয়ত দলই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত, তার আগেই উনিই পদত্যাগ করেছেন, ভালো হয়েছে।" পালটা সৌগত প্রশ্ন, "রাজীব ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তাহলে উনি ফেসবুক লাইভে যেগুলি বলেছেন, সেগুলি তো ক্যাবিনেটে বলতে পারতেন। ফেসবুক লাইভে বলে উনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাও দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দল আর কত ধৈর্য্য দেখাবে?" এর জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন সৌগত রায়। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement