Advertisement

মোদীর তিন পুরুষ আগে বঙ্কিমচন্দ্রের জন্ম, তাহলে দাদা কেন বলছেন? PM-কে খোঁচা কল্যাণের

বাংলার মণীষী ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করতেই বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এমন সুযোগ ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেসও।

ডান দিকে আজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ডান দিকে আজ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 09 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:08 PM IST
  • ভোটারদের ডিলিট করতেই SIR করা হচ্ছে, দাবি কল্যাণের
  • সংসদে বিজেপিকে আক্রমণ কল্যাণের
  • ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করতেই বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

লোকসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার মণীষী ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে 'বঙ্কিমদা' বলে সম্বোধন করতেই বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা। এমন সুযোগ ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেসও। গতকালই আলোচনার সময় মোদীকে থামিয়ে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এরপর সংসদে জোরদার প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। তবে এখানেই ইস্যু শেষ হয়নি। সোমবারের পর মঙ্গলবারও লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন আর এক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ বলেন, "বিজেপি আসলে বাঙালি বিদ্বেষী। সেই কারণেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। সেই কারণেই রামমোহন রায়ের সমালোচনা করা হয়। আর সেই একই কারণেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলে দেন ‘বঙ্কিমদা’। মোদীর তিন প্রজন্ম আগের সময়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যখন জন্ম হয়েছিল— তাঁকেও দাদা বলে দেন। কই কখনও কোনও গুজরাতিকে তো দাদা বলেন না। বল্লভভাই পটেলদা বলেন কি!বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করেন।”

শ্রীরামপুরের সাংসদ এদিন অভিযোগ করেন, বাংলা বললেই বিজেপি তাদেরকে ধরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এরপরই সোনালি বিবির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "আপনারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিশ্চয়ই দেখেছেন। আদালত বলেছে, আগে তাঁদের ফেরত নিয়ে আসো। তার পরে বিচার হবে। সেই নির্দেশ সোনালি বিবিদের ফেরত নিয়ে এসেছে কেন্দ্র।” তিনি আরও বলেন, “সব বাঙালিকে কি রোহিঙ্গা বলে তাড়িয়ে দেওয়া হবে? রোহিঙ্গারা কোথায় আসছে? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তারা আসছে মিজ়োরামে। 

পাশাপাশি, এদিন SIR-এর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "পুরো SIR প্রক্রিয়াই সংবিধান বিরোধী। এই SIR-এর মাধ্যমে আসলে বিজেপি ভোটারদেরই ডিলিট করে দিতে চাইছে। ভোটাররা বাদ গেলে নির্বাচন করে কী হবে? নির্বাচন বাদ দিয়ে দিন।"

এছাড়াও এদিন BLO-দের মৃত্যু নিয়েও একযোগে বিজেপি ও ইলেকশন কমিশনকে প্রশ্ন করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেন, “SIR কাজ শুরু হওয়ার পরে বিএলও-দের উপর অমানবিক কাজের চাপ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে ২০ জন আত্মহত্যা করেছেন। সুইসাইড নোটও রয়েছে। পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ১৯ জন মারা গিয়েছেন। তিন জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এর জন্য দায়ী কে! নির্বাচন কমিশন?”

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement