বঙ্গ জয়ের লড়াইতে আদিবাসী ও কৃষক সহ সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মানুষের মন জয় করতে তাঁদের বাড়িতে একাধিকবার মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন জেপি নাড্ডা (J P Nadda), অমিত শাহর মতো বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতারা। সেই তালিকায় ছিলেন বাউল শিল্পীও। গত ডিসেম্বর মাসে বীরভূমের শিল্পী বাসুদেব দাস বাউলের (Basudeb Das Baul) বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই সময় শাহকে গানও শুনিয়েছিলেন শিল্পী। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। ইতিমধ্যে রাজ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে এবং বিজেপি পরাজিতও হয়েছে। কিন্তু মাঝের এই সময়টাই কি ওই শিল্পীর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রেখেছেন বিজেপির নেতারা? এই বিষয়ে শিল্পী নিজে জানাচ্ছেন, ওই দিনের পর আর তাঁর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করেননি বিজেপির কোনও নেতা। তবে তাতে অবশ্য কোনও অভিযোগ বা দুঃখ নেই শিল্পীর। বরং ভবিষ্যতে যদি আবারও বিজেপির কোনও নেতা বা মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে আসতে চান তাহলে তাঁকেও ঠিক একইভাবে আপ্যায়ন করবেন বলেই জানান তিনি। আর শুধু বিজেপিই নয়, তৃণমূলের (TMC) কোনও নেতা মন্ত্রী যেতে চাইলে তাঁকেও একইভাবে স্বাগত জানান হবে। এক্ষেত্রে বাসুদেব দাস বাউল বলেন, সবাইকেই তাঁরা মানুষ হিসেবে দেখেন, আর সব মানুষই তাঁদের কাছে সমান।
মধ্যহ্নভোজন পর্বের মধ্যে দিয়ে বারেবারেই সমাজের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। কিন্তু ফলাফলে দেখা গিয়েছে বাংলার মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দেননি। এক্ষেত্রে বাসুদেব দাস বাউলকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার বাড়িতে মধ্যহ্নভোজন সেরে গিয়েছেন অমিত শাহ, কিন্তু ভোটে বিজেপি হেরেছে, কেমন লাগছে? শিল্পীর সাফ উত্তর, "আমি আর কী বলবো? ওনার কাজ উনি করে গিয়েছেন, আমার কাজ আমি করলাম।" একইসঙ্গে বাসুদেব দাস বলেন, "নেতা মন্ত্রীরা জনগণের মঙ্গলই চান, কিন্তু মাঝে কিছু লোক থাকেন, তাঁরাই খারাপ কাজ করেন।"
অন্যদিকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, শিল্পী বলেন, "এটা খারাপ, হারজিত তো আছেই, কিন্তু এই নিয়ে মারমারি করার কোনও দরকার নেই। "বরং বাউলের ভাবধারা মেনে সবাইকে মিলেমিশে, একসঙ্গে জীবন কাটানোর পরামর্শই দেন শিল্পী বাসুদেব দাস বাউল।