এ যেন বিশ সাল বাদ! সেবার ছিল উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দল। এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর। দু'দশক পর ফের প্রার্থী মুকুল রায়।
এর মাঝে অনেক বদল হয়েছে। তিনি দলবদল করেছেন। তৃণমূল 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড' ছিলেন। এখন তিনি বিজেপিতে। এবার বিধানসভা ভোটে লড়বেন।
কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে তিনি লড়বেন। ২০১৬ সালের ভোটে ওই কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপি এগিয়েছিল। তাই এখান থেকে তিনি এগিয়েই লড়াই শুরু করছেন বলা যেতে পারে।
সবার প্রশ্ন, ২০০১ সালে হয়নি, ২০২১ সালে কি ফুটবে 'মুকুল'? তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু এবারও ভোটে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি দাঁড়াচ্ছেন তাঁর নিজের কেন্দ্র থেকেই। তিনি লড়বেন বীজপুর আসন থেকে। বাবা-ছেলে একসঙ্গে ভোটে লড়বেন, এটাই বেশ অভিনব।
মুকুল রায় এখন বিজেপির সহ-সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ছিলেন রেলমন্ত্রী। ভাড়া বাড়ানো নিয়ে দলের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় সেই পদ ছেড়ে দিতে হয় তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, তৃণমূল নেত্রী তাঁর জায়গায় আনেন মুকুল রায়কে। তিনি ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। অভিযোগ, ২০১৪ সালে রাজ্যসভার ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর জন্য তিনি বাম বিধায়কদের 'ভাঙিয়ে আনেন'। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল।
তবে তিনি নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হন। এরপর তাঁর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ে। পরে দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।
তিনি ভোটে দাঁড়াবেন কিনা, এ নিয়ে এ বার জোর জল্পনা ছিল। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকে সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভোটে লড়ার। তবে তিনি সরাসরি কিছু জানাননি।
না বলার উপায় ছিল না। কারণ প্রস্তাব এসেছিল দলের শীর্ষ নেতাদের তরফ থেকে। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজনৈতিক মহলে তিনি পরিচিত 'চাণক্য' নামে। তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গেলে তাঁর ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে। আগে ভোটে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাল নয়। তাই কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন।