দু'দিনের সফরে কলকাতায় এসে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা ভবানীপুরে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার গন্তব্য ছিল সাংসদ অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্ড্র ডায়মন্ডহারবার। যেখানে দাঁড়িয়ে এদিন রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ঠিক ১০ বছর আগে যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিষেকের গড়ে নাড্ডার আগমনের আগেই বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডায়মন্ডহারবার। অভিযোগ নাড্ডার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় লাঠি, পাথর, ইট, কাচের বোতল। হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বাংলায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতার গাড়ি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে এরপরেই শহরের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেমে পড়েন দলীয় কর্মীরা। দিনের ব্যস্ত সময়ে অবরোধ করে রাখা হয় কেষ্টপুর মোড়। যার ফলে দমদম থেকে উল্টোডাঙার মধ্যে যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্বদ্ধ হয়ে পড়ে। ভিআইপি রোডে তৈরি হয় যাটনজও। বিক্ষোভকারীরা রাস্তার মাঝে টায়ারে আগুনও ধরিয়ে দেয়। প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার নাড্ডার সঙ্গে ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে গিয়েছিলেন বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। কিন্তু আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয় বারবার আটকানো হয় বলেই অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে গেরুয়া শিবির।
শিরাকোল মোড় ছাড়তেই কনভয়ে ওপর চলে মুহূর্মুহূ ইটবৃষ্টি। পুলিশের গাড়ির কাচও রক্ষা পায়নি হামলার হাত থেকে। এই হামলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিীপ ঘোষের এক নিরাপত্তাকর্মীও আহত হ বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।