বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বঙ্গ আগমনে এখন দুই তরফের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাদের কনভয়ের ওপর হামলার ঘটনায় এরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় তুলছে গেরুয়া শিবির। নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় সরব পদ্মশিবিরের একের পর এক সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। ট্যুইট করেছেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর গেরুয়া শিবিরের এই সাঁড়াশি আক্রমণে কিন্তু চুপ করে বসে নেই ঘাসফুল শিবিরও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই নাড্ডার ওপর হামলাকে সাজানো ঘটনা প্রতিপন্ন করতেই ব্যস্ত। আর এই আবহে পিছিয়ে থাকলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এর আগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সরব হতে দেখা গেছে ধনখড়কে। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয় হামলা নিয়ে ফের একবার মমতা প্রশাসনের দিকেই তোপ দাগলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
ধনখড় বৃহস্পতিবার ট্যুইটে লেখেন, নৈরাজ্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির যে সব রিপোর্ট আসছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলছে, রাজনৈতিক পুলিশের সমর্থনে শাসক দলের হার্মাদরা হামলা করেছে বিজেপি সভাপতির কনভয়ে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে সকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানানো সত্ত্বেও এটা ঘটল।
এরপরে আরও একটি ট্যুইট করেন রাজ্যপাল। যেখানে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় সন্ধে ৬টার মধ্যে মমতা সরকার ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর কাছে ঘটনার সবিস্তার বিবরণ চান তিনি।
যদিও সমন পাঠানোর পর এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের তরফে সেই রিপোর্ট তাঁর কাছে আসেনি বলে ফের একবার ট্যুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি তাঁর সঙ্গে দেখা করলেও এনিয়ে কোনও উত্তর দেননি বলেই দাবি করেন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গে ফের একবার রাজ্যের তরফে সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে রাজ্যপাল নাড্ডার ওপর হামলায় প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেও বিজেপি সভাপতির কনভয়ে কিছুই হয়নি বলে দাবি করে চলেছে রাজ্য পুলিশ। শুধুমাত্র কনভয়ের শেষ দিকে অনেকটা পিছনে থাকা কয়েকটি গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার পাশ থেকে কয়েকজন পাথর ছুড়েছে৷ ট্যুইটারে এমনই দাবি করেছে রাজ্য পুলিশ৷